খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষিকে বিজ্ঞানভিত্তিক করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই মুহূর্তে দেশে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ। অন্যদিকে কৃষি জমি কমছে। এ অবস্থায়, এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে কৃষিকে বিজ্ঞানভিত্তিক করতে হবে, যান্ত্রিক করতে হবে, আধুনিক করতে হবে। উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিকে দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহী, রংপুর বিভাগসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি’র উদ্যোগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় উত্তরাঞ্চলে ‘বিদ্যমান শস্য শস্যবিন্যাসে তৈল ফসলের অর্ন্তভূক্তি এবং ধান ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি’শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রধান ফসল ধানের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পুরনো জাতের পরিবর্তে ব্রি উদ্ভাবিত সম্ভাবনাময় জাতগুলো দ্রুত কৃষকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। ধান আমাদের প্রধান খাদ্য শস্য। তাই ধানের উৎপাদন অটুট রেখে পাশাপাশি ধানভিত্তিক শস্য বিন্যাসে তেল ও ডাল জাতীয় ফসলের আবাদ বাড়িয়ে ভোজ্যতেল ও আমিষের চাহিদা মেটানোর পরিকল্পনা নিয়ে সে মাফিক কাজ করতে হবে।
বর্তমানে ভোজ্য তেলের চাহিদার মাত্র ১০-১৫ ভাগ দেশিয় উৎস থেকে পূরণ হয় এবং বছরে প্রায় ভোজ্যতেল আমদানীতে ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, উত্তর-পশ্চিমের জেলাগুলোতে ধানের ফলন অক্ষুন্ন রেখে অন্যান্য ফসলেল উৎপাদন কিভাবে বাড়ানো যায় সে দিকে কৃষি বিভাগ কে নজর দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের বাজারে পন্যের দাম কিছুটা বাড়লেও এই নিয়ে সরকার অত্যন্ত সচেতন এবং এই নিয়ে সরকারে কোন হতাশা নেই। যারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে অগনতান্ত্রিক ও অসংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় যেতে চায় তারা এই নিয়ে অপ্রচার করছে, এরা মানবতা ও গণতন্ত্রের শক্র।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নিবার্হী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, বিএডিসির সদস্য (পরিচালক বীজ) মোস্তাফিজুর রহমান ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।
কর্মশালায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ইব্রাহিম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মোট চারটি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়।


প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২২ | সময়: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ