সানী হত্যা মামলায় আরো দুই আসামী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার

রাজশাহী মহানগরীর দড়িখরবোনার আলোচিত এসএসসি পরীক্ষার্থী সানি হত্যা মামলার ঘটনায় আরো দুইজনকে আটক করেছে র‌্যাব সদস্যরা। র‌্যাবের পাঠানো প্রেস রিলিজ সূত্রে জানানো হয়, উক্ত মামলার ১নং আসামী মঈন @ আন্নাফ (২০) মূলত মঈন গ্রুপের লিডার ছিল। এই গ্রুপ রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায়। এরই প্রতিবাদকারী মোঃ সানি (১৭)‘কে তারা টার্গেট করে পরবর্তীতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাকে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। নিহত সানি রাজশাহী পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম পাখি (৫০) এর ছোট ছেলে। উল্লেখ্য, সানি এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

হত্যাকান্ড সংগঠনের পরপরই আসামীরা বিভিন্ন পথে বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তারা ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় পরিবহণের মাধ্যমে ভেঙ্গে ভেঙ্গে নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও ঢাকা জেলা অতিক্রম করে নারায়ণগঞ্জে আশ্রয় গ্রহণ করে। র‌্যাবের আভিযানিক দল ও গোয়েন্দা শাখা প্রায় তিনটি স্থানে অভিযান চালিয়ে পরবর্তীতে ৬ জুলাই বুধবার র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল উক্ত মামলার ৪নং আসামী মোঃ শাহী (১৯), পিতা-শফিক, সাং-হেতেমখাঁ, থানা-বোয়ালিয়া, রাজশাহী মহানগরী‘কে ঢাকার শ্যামলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যমতে উক্ত মামলার ২নং আসামী মোঃ রাহিম (১৯), পিতা-মৃত সোহেল, সাং-হেতেমখাঁ, থানা-বোয়ালিয়া, রাজশাহী মহানগর‘কে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ রাহিম (১৯) এবং মোঃ শাহী (১৯) উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়,গত ৩ জুলাই রাতে আহত বন্ধু সিজার (২০)‘কে দেখতে যায় নিহত সানি (১৭)। এ সময় কয়েকজন যুবক জোর করে তুলে নিয়ে রাজশাহী মহানগরীর হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকায় কফিল উদ্দিন জামে মসজিদের পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ০৪ জুলাই মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের বিষয়ে র‌্যাব-৫ এর আভিযানিকদল তৎপর রয়েছে। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সানশাইন / শামি