বাঘায় তৈরী করা হচ্ছে পলি হাউজ ,শীতের সবজি মিলবে গরমে !

নুরুজ্জামান,বাঘা : জমিতে লোহার পাইপের খুঁটির উপরে ও চারিদিকে ২০০ মাইক্রনের পলিথিন দিয়ে তৈরি করা অংশকেই বলা হয় পলি হাউজ। কৃষি ক্ষেত্রে এটি নতুন উদ্ভাবন। এই উদ্ভাবন ইতোমধ্যে উন্নত দেশে এনে দিয়েছে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন। শীতের সবজি গরমে পাওয়া-সহ ফুল চাষের স্বপ্ন পুরনে পলি হাউজ এর কোন বিকল্প নেই ।

আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষককে উদ্ভুদ্ধ করে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এ দিক থেকে বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে মোঃ আমিনুল ইসলাম রুমন নামে একজন উদ্যোক্তা লোহার পাইপ দিয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন। এটি বাস্তবায়ন করা হলে সবজি ও ফুল চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে মনে করছেন অনেকে। এর ফলে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন কৃষক।

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ইউরোপে ব্যবহৃত পদ্ধতি অনুযায়ী লোহার পাইপের খুঁটির উপরে ও চারদিকে ২০০ মাইক্রনের পলিথিন দিয়ে বানানো হয়েছে এই ‘পলি-হাউস’। আর তাতে সারা বছরই সবজি এবং ফুলের চাষ হচ্ছে। অর্থাৎ ফুল ও সবজি চাষে শীত ও গরমের কোন বাধাই থাকছে না এখানে। ফলে অসময়ে চাষিরা যেমন লাভের মুখ দেখবেন , তেমনি ক্রেতারাও সারা বছরই টাটকা সবজি ও ফুল পাবেন।

এ বিষয়ে কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, পলি-হাউস পদ্ধতিতে চারদিকে প্লাস্টিকের ছাউনি থাকায় সূর্যের তাপ সরাসরি খেতে ঢুকতে পারে না। ফলে, শীতের সবজি গরমেও চাষ করতে অসুবিধা হয় না। এই পদ্ধতিতে পানির অপচয় ঠেকানো যায়। সার দেওয়া হয় নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে। প্লাস্টিকের চাদর থাকায় দুর্যোগের প্রকোপও অনেকটা ঠেকানো সম্ভব হয়। সব মিলিয়ে পলি-হাউস পদ্ধতিতে ফসলের অন্তত ২০ শতাংশ ফলন বেশি হয় বলে তাঁরা দাবি করছেন।

এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম রুমন বলেন, আমি যশোর ও খুলনা এলাকায় দেখে এসেছি এই পদ্ধতি। এর আওতায় ১০০৮ বর্গফুটের একটি পলি শেড, সৌরচালিত ডাগ ওয়েল ও ড্রিপ ইরিগেশনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পলি শেডে অসময়ে উৎপাদন করা হচ্ছে তরমুজ,টমেটো,রকমেলন, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, আগাম ফুলকপি, বাধাকপি, গাজর ও হরেক রকম ফুল সহ শীতকালিন নানা প্রকার বিষমুক্ত সবজি।


প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২ | সময়: ১:২৯ অপরাহ্ণ | সানশাইন