সর্বশেষ সংবাদ :

নিয়ামতপুরে ইমাম ও আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ , ২ লক্ষ টাকায় দফারফা

 

নিয়ামতপুর প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত কামরুজ্জামান গাংগইল মহাভার গ্রামের মসজিদের ইমাম, উপজেলার করমজাই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ এর ছেলে ও চন্দননগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। তবে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান দাবি করেছেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রামের মাতব্বর ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি হিসাবে ৪ জন ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে বিচারের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকায় দফারফা করা হয় এবং বিষয়টি উভয় পক্ষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।

জানা গেছে, ৩ জুন শুক্রবার সকাল ৮ টায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান বাড়ীতে ঢুকে গৃহবধূকে জড়িয়ে ধরে। পরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্ত কামরুজ্জামানকে হাতে নাতে ধরে আটক করে। পরে সালিসের কথা বলে ছেড়ে দেয়। ঐদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি ক্লাব ঘরে গ্রাম্য নেতা ইউনুসের ছেলে নান্নু অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি হিসাবে ইউপি সদস্য মইনুল ইসলাম, মন্টু, শরিফুল ইসলাম ও গোলাম রাব্বানীর উপস্থিতিতে সালিস বসে। সালিসে অভিযুক্ত কামরুজ্জামানকে ২ লক্ষ জরিমানার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

‘এ বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান বলেন, আমি ঐ বাড়ীতে দীর্ঘদিন যাবত চলাফেরা করি। একটি পরিবারের মত। ঐ দিনও একটি কাজে গিয়েছিলাম। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টা তো দূরের কথা মেয়েটির কাছেও আমি যাই নাই।  এই রকম বিভিন্ন জনকে ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করাই তার কাজ।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বলেন, আমার জানা ছিলো না। সে দিন আমি ব্যক্তিগত কাজে রাজশাহী ছিলাম। আমি পরে শুনেছি। সালিসের বিষয়টিও আমার জানা ছিলো না। আমি সালিসে কোন প্রতিনিধি পাঠাইনি।
ইউপি সদস্য মইনুল ইসলাম বলেন, আমি সালিসের বিষয়ে জানতাম না। সালিসের শেষ পর্যায়ে আমি সালিসে এসেছিলাম। আর জরিমানার বিষয়টিও আমার জানা ছিলো না।

১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাম রাব্বানী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। সালিশ বসার পর জানতে পারলে আমি বলি আমার ওয়ার্ডে সালিশ হচ্ছে আর আমি জানি না। আমি সালিশে গিয়ে দেখি সালিশ শেষ।

চন্দননগর ইউপির আরেক ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি কিছুই জানি না। ঐ পথ দিয়ে আমি যাচ্ছিলাম। তখন আমাকে সালিসে বসতে বললে আমি মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট ছিলাম। তার পর চলে এসেছি।

অভিযোগকারী নারী বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায় নাই। বাড়ীতে এক নানী ছিলেন তিনি পোরশা উপজেলার মহিলা নেত্রী বলে দাবী করে বলেন, অভিযোগকারী বাড়ীতে নেই। তিনি অসুস্থ্য ডাক্তারের বাড়ীতে গেছে। সে কোন কথা বলতে পারবে না।

 

সানশাইস/তৈয়ব

 


প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ | সময়: ৭:২৬ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine