বাগমারার সেই গফুর কম্পাউন্ডারকে দেখতে গেলেন এমপি এনামুল

স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: সেই আশির দশকের আগের কথা। বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জে কয়েকটি টিনসেড ঘরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র খুলে সরকারিভাবে গোটা উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন ডাক্তার ও একজন কম্পাউন্ডার মিলে উপজেলাসাবীর স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন যুগ যুগ ধরে।
তাদেরই একজন হলেন খন্দকার আব্দুল গফুর। যিনি উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় গফুর কম্পাউন্ডার নামে পরিচিত। রোগবালাই হলে মানুষ ছুটে আসত ভবানীগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এখানে বিদেশ থেকে ওষুধের নানান রঙের কাঁচামাল আসত। এসব দিয়েই সিরাপ বানিয়ে দিতেন গফুর কম্পাউন্ডার। রোগিরা বাড়ি থেকে বোতল এনে সিরাপ নিয়ে তা খেয়ে ভাল হত রোগবালাই। তারা দোয়া করত গফুর কম্পাউন্ডারের জন্য। আজ সেই গফুর কম্পাউন্ডার রোগ শয্যায়। নব্বইয়ের কোঠা পার করে ভবানীগঞ্জ বাজারের নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন থেকে শয্যাগত।
১৯৯০ সালে তিনি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহন করেন। গফুর কম্পাউন্ডারের এমন রোগ শয্যায় থাকার বিষয়টি জানতে পেয়ে রবিবার ভোরে এমপি এনামুল হক ছুটে আসেন ভবানীগঞ্জ বাজারে। তিনি গফুরের বাড়িতে গিয়ে কিছু সময় কাটান ও তার চিকিৎসার বিষয়ে খোজখবর নেন। এময় তিনি গফুরের সুচিকিৎসা ও অন্যান্য সেবা যত্নের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করেন ও প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় এমপি এনামুল হক অতীতের স্মৃতিচারন করে বলেন, আি সহ আমার পুরো পরিবারের চিকিৎসা সেবা দিতেন গফুর কম্পাউন্ডার। তার হাতের তৈরি সেই সুস্বাদু সিরাপ খেয়ে সবার রোগ বালাই ভাল হত। আল্লাহ ওনাকে সুস্থতা দান করুন। সবার কাছে সেই দোয়া কামনা করছি।


প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২২ | সময়: ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ