শনিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: রাজশাহীর বাগমারায় সরকারি প্রণোদনার সার উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগে থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামী উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমতিয়াজ দেওয়ান বাদী হয়ে কালোবাজারে সার বিক্রিয়ের সাথে সরাসরি জড়িত থাকায় ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম, সার ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন ও রুহুল আমিনসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের নামে বাগমারা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার দিনে অভিযানের সময় আমজাদ হোসেনকে পুলিশ হাতে নাতে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সাজ্জাদ হোসেন (৩২) নামে অভিযুক্ত আরো একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বৃহস্পতিবারই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
জানা যায়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশের অন্যান্য জায়গার মত বাগমারায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পাট বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার বিতরণের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মাধ্যমে কৃষকদের তালিকা তৈরি করে।
এতে রবিবার বাগমারা উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের ২৫০ জন কৃষকের সার চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা উত্তোলন করে নিয়ে যায়। উত্তোলনকৃত সার কৃষকদের মাঝে বন্টন না করে গোপনে মেম্বার আব্দুর রহিম মদাখালী বাজারে ২জন কীটনাশক ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রিয় করে দেয়। ত
বে এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তালিকা করে প্রতি কৃষকদের জন্য ৫ কেজি ইউরিয়া ও ৫ কেজি ডিএপি সার বিনামূল্যে প্রদানের জন্য সারগুলো বন্টন করা হয়েছে। সার বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট মেম্বারদের মাধ্যমে সকল কৃষকের তালিকা করা হয়। সেই তালিকা মোতাবেক ইউরিয়া ও ডিএপি মিলে ৫০ বস্তা সার উত্তোলন করা হয়। প্রণোদনার সার উত্তোলন পর অবৈধ ভাবে দুইজন ব্যবসায়ির কাছে বিক্রি কি ভাবে হলো এ নিয়ে তিনি বিব্রত।
এ ঘটনায় বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, প্রণোদনার সরকারি সার বিক্রয় করা ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ অজ্ঞাত কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযানে সরকারি সার বিক্রয়ের সময় ওই মামলার আসামী আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত দুই দোকানীর দোকান সীলগালা করা হয়েছে। শুক্রবার সাজ্জাদ হোসেন নামে একজন আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়া পলাতক অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।