সর্বশেষ সংবাদ :

চাল ও ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ

সানশাইন ডেস্ক: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সপ্তাহের ব্যবধানে অন্যন্য নিত্যপণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে হঠাৎ করে চাল ও ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নতুন করে বিপাকে পড়ছেন স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ক্রেতারা।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা পর্যন্ত। বস্তায় বেড়েছে ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। সেই সাথে প্রতি হালি (৪টি) ডিমের দাম বেড়ছে ২-৪ টাকা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই বেড়েছে চালের দাম। অপরদিকে ডিমের দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে খাবার মূল্য বেশী হওয়ার কারণকেই দায়ী করছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ফুলবাড়ী বাজারের চাল ব্যবসায়ী শ্রীকান্ত ও চাল ব্যবসায়ী আকবর আলী বলেন, ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণেই চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বস্তা প্রতি চালের দামও বেড়েছে। ধান ব্যবসায়ী লিটন গুপ্ত বলেন, বর্তমানে মিনিকেট ধান বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ২ হাজার ৪৮০ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২ হাজার ৩২০ টাকা দরে। মোটা গোল হাইব্রিড ৭৫০ টাকা থেকে শুরু। ২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ৯শ’ টাকা প্রতিমণ। বস্তাপ্রতি ধানের মূল্য বেড়েছে এক থেকে দুইশ টাকা। যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী বাজার ঘুরে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। সাধারণ মানুষ যে চাল খায় গুটি-স্বর্ণা লোকাল ৪০ থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা অটো ৪৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮টাকা, মিনিকেট ৫৫ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, ২৮ চাল ৪৪ থেকে বেড়ে ৪৮ টাকা, স্বর্ণা ফাইভ ৩৭ থেকে বেড়ে ৪৫টাকা, ভ্যারাইটি এবং নাজিরশাল বেড়েছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা।
অপরদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে হালি প্রতি ডিমে বেড়েছে ৪-৫ টাকা। লাল ডিম (৪টি) এক হালি বিক্রি হচ্ছে পাইকারী বাজারে ৪০টাকা, খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৮ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৩৮-৪০ টাকা পর্যন্ত। সাদা ডিম (৪টি) এক হালি পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা, খুচরা ৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হয়েছে ৩৬-৩৮ টাকা পর্যন্ত। তবে দেশি হাস-মুরগির ডিমের দাম এক হালি ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, এর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিম ব্যবসায়ী সুমন সাহা বলেন, খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে খামারিরা ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, সেই অনুযায়ী বিক্রি করা হচ্ছে। হঠাৎ চাল ও ডিমের এই মূল্য বৃদ্ধিতে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষরা বিপাকে পড়েছেন।
পল্ট্রি খামারি শাহিনুর ইসলাম বলেন, বাজারে খাবারের মূল্য বেশি হওয়ায় তারা পোষাতে পারছেন না। কাঁটাবাড়ী গ্রামের রাহাদ গাজিসহ একাধিক ক্রেতা জানান, বাজারে চাল কিনতে গিয়ে দেখি চালের কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সাথে হঠাৎ চালের মূল্য বৃদ্ধিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ফুলবাড়ী চাউলকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবু জানান, এবছর তুলনামূলক ধানের চাষবাদ কম হয়েছে। অনেক কৃষকের ধান নষ্ট হয়েছে এবং কিছু যায়গায় বন্যার কারণে তারা এদিক থেকে ধান নিয়ে যাচ্ছে। অটোমিল ব্যবসায়ীরাও কিছু ধান কিনে মজুদ করছেন। তাই চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে ধানের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।


প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২ | সময়: ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর