সর্বশেষ সংবাদ :

সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, হস্তান্তর জুলাইয়ে

ঢাকা অফিস: দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প হতে চলেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মনকাশাইরে। ১২ দশমিক ৩৫ একর সরকারি খাস জায়গায় তৈরি হচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৪০০ ঘর। প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে ঘরগুলো তৈরি হচ্ছে। সঙ্গে যথারীতি থাকছে বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ আবাসন সুবিধা পাবে। পুরো পল্লীর নকশা করা হয়েছে জাতীয় পতাকার আদলে। ছাদের টিনে এমনভাবে রঙ করা হবে যাতে উপর থেকে দেখলে বাংলাদেশের পতাকাই ভেসে উঠবে। প্রকল্প সূত্রে আরও জানা যায়, দৃষ্টিনন্দন রঙিন টিনের দুই কামরার সেমিপাকা ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর ও শৌচাগার নির্মিত হচ্ছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের চেয়ে তৃতীয় ধাপের ঘরগুলো বাজেট বেড়েছে ৯০ হাজার টাকা করে। তৃতীয় ধাপের ঘরে নকশা ও পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে ঘরগুলো আরও টেকসই ও দুর্যোগ সহনীয় হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের গা ঘেঁষে চলছে এই প্রকল্পের কাজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিছু ঘরের কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। কিছু ঘর পুরোপুরি তৈরি। প্রকল্পের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরের পাশাপাশি থাকবে স্কুল ও খেলার মাঠ। আরও থাকবে পুকুর, মসজিদ, কবরস্থান ও মন্দির। খাবার পানির চাহিদা মেটাতে বসানো হচ্ছে গভীর নলকূপ। এখানকার বাসিন্দাদের বাজারের জন্য ২২ হাজার বর্গফুটের একটি জায়গাও নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী লাল টিনের ঘর থাকছে ৫০টি এবং সবুজ টিনের ঘর ৩৫০টি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর আওতায় তৃতীয় ধাপে দেশের মোট ৬৫ হাজার ৪৭৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে আধা-পাকা ঘর উপহার দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসন্ন ঈদের পর তৃতীয় ধাপের ঘরগুলো প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের হাতে তুলে দেবেন। ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পটি এখন প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। কসবায় নির্মাণাধীন প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এখানে প্রধানমন্ত্রী শুধু ঘরই দিচ্ছেন না, সঙ্গে বিদ্যুৎ, পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও নির্দেশনা দিয়েছেন, এই প্রকল্পে যারা থাকবেন তাদের সরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কসবার এই প্রকল্পের কাজের মান খুব ভালো। এখানে চারশ’ পরিবার থাকবে। তাদের জন্য রাস্তা ও ড্রেনেজ সিস্টেমও রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সব মিলিয়ে আমরা মনে করি, এখানে যারা থাকবেন তারা খুব আনন্দের সঙ্গেই থাকবেন। স্থানীয়দের সঙ্গেও তাদের সম্পৃক্ততা তৈরি হবে। আশা করছি জুলাইয়ে এসব ঘর হস্তান্তর করা যাবে।


প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২২ | সময়: ৮:১৫ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine