বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
প্রথমে বাবাকে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম, এরপর স্ত্রীকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে পালিয়েছেন গোলাম মোস্তফা চৌধুরী (২৫) নামে এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে দুর্গাপুর উপজেলার বর্ধনপুর গ্রামে।
নিহত জুথি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর গুরুত্বর আহত আবু কালাম চৌধুরীকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাশমত আলী জানান, পরকীয়ার ঘটনায় দু’টি ঘটনা ঘটেছে। তারা অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, দুই বছর আগে বর্ধনপুর গ্রামের আবু কালামের ছেলে গোলাম মোস্তফার সঙ্গে উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের আবু হানিফের কন্যা জুথি খাতুনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানের বর্তমান বয়স সাত মাস। এরই মধ্যে শ্বশুরের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন জুথি।বুধবার শ্বশুরের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়রা দেখেন জুথিকে। তখন কাজে বাইরে ছিলেন গোলাম মোস্তফা। গোলাম মোস্তফা বাড়ি ফিরে আসার আগেই জুথি তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি কিশোরপুর চলে যান। রাতে বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানতে পেরে পিতা আবু কালামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন গোলাম মোস্তফা। এরপর শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান গোলাম মোস্তফা।
ওসি জানান, ইতোমধ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমে গোলাম মোস্তফার অবস্থান নিশ্চিত হতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।