সর্বশেষ সংবাদ :

বগুড়া শেরপুরে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে  ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি,বগুড়ার শেরপুরে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করাতে গিয়ে দিনের পর দিন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং জনসাধারণকে। জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবা প্রার্থীরা। ইন্টারনেটের গতি কম, সার্ভার স্লো ইত্যাদি অজুহাত দেখিয়ে সেবা প্রার্থীদের দিনের পর দিন ঘোরানো হচ্ছে। এমনও শোনা যাচ্ছে, কোনো কোনো কেন্দ্রে অসাধু কর্মকর্তাদের হাতে কিছু টাকা তুলে দিলেই জন্মসনদ পাওয়া যায়। এ অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। নতুবা সবার মাঝে জেগে উঠবে অনীহা। জানা যায়, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পাসপোর্ট, বিবাহ নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, জমি রেজিস্ট্রেশনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করেছে। এছাড়াও চলছে কোভিড-১৯ রেজিষ্ট্রেশন এবং ইউনিক আইডি আপলোডের কাজ  অথচ নতুন করে জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে অথবা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন সনদ নিতে অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সনদ পেতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি শর্ত। এসব শর্ত পূরণ করতে গিয়ে অনেকেরই হাঁসফাঁস অবস্থা যেন জন্মনিবন্ধনের আরেক নাম ভোগান্তি। ১৭টি সেবার ক্ষেত্রে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক হওয়ায় মানুষ বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে জন্মনিবন্ধন করছেন। এরপরও জরুরি এই সনদ পেতে সীমাহীন দুর্ভোগ  পোহাতে হচ্ছে উপজেলার মানুষকে। গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ায় স্কুলে ভর্তির জন্য সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে গিয়ে আটকা পড়েন অনেক বাবা-মা। এর আগে মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়েই যে কারও জন্মনিবন্ধন করা যেত। কিন্তু নতুন নিয়মে আগে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন করতে হয়, এরপর পাওয়া যায় সন্তানের জন্মসনদ। সবাই যেন জন্মনিবন্ধনের আওতায় আসে, সেজন্য নিবন্ধনের আবেদনে কিছু  বিষয় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী যাদের জন্ম ২০০১ সালের পর, তাদের জন্মনিবন্ধনের জন্য বাবা-মায়ের জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন অনেকে। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে নাগরিকদের ভোগান্তির কথা জানা যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও অনেকেই সনদ না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার অভিযোগ করেছেন, মাসের পর মাস  ঘুরেও মিলছে না কাঙ্খিত জন্মসনদ। বস্তুত এ সনদ পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষকেই। এর মধ্যে সন্তানদের স্কুলে ভর্তির জন্য বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন করাতে গিয়ে বেশি ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে বাবা-মায়েদের। কাউকে কাউকে জন্মসনদ নিতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা গুনতে  হচ্ছে। সেই সঙ্গে হয়রানি তো আছেই। অনেক ইউনিয়নের তথ্য সেবাকেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, সার্ভার আপডেট করার জন্য সমস্যা হচ্ছে, এ কারণে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কয়েকজন ইউপি সচিব বলেন, পুরোনো থেকে নতুন সার্ভারে যাচ্ছে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন ব্যবস্থা। আর এ ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে সার্ভারজনিত কারিগরি জটিলতা। ফলে অনেক স্থানেই  জন্মনিবন্ধন করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি ইউপি চেয়ারম্যান এবং সচিবদের সাথে কথা বলে তাদের সতর্ক করেছি।

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ | সময়: ৩:০৩ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ