সর্বশেষ সংবাদ :

৫০ শতক বরই বাগানে লাখ টাকার স্বপ্ন জেসমিনের

সিংড়া প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের মহিষমারী চক বলরামপুর গ্রামের গৃহবধূ, সিংড়া উপজেলার ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে প্রথম নারী উদ্যোক্তা জেসমিন আকতার। ২ বছর আগে নিজ বাড়িতে কেঁচো খামার থেকে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে সফল হয়েছেন এই নারী উদ্যোক্তা। এবার শখের বসে ৫০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন বরই। মাত্র ৩০ হাজার টাকা খরচ করে আয় করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় বরই চাষী জেসমিনের সাথে। জেসমিন জানায়, প্রায় ১০ মাস আগে নিজের ৫০ শতাংশ জমিতে বরই বাগানের উদ্যোগ নেন তিনি। বরই গাছের চারা, শ্রমিক, ঘেরসহ তার মোট খরচ হয়েছে মাত্র ৩০ হাজার টাকা। বরই গাছের চারা রোপণের মাত্র ৭ মাসেই বরই বিক্রির উপযোগী হওয়ায় বাগানের সবগুলো বরই পাইকারদের কাছে বিক্রয় করেছেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। খরচ বাদে তার আয় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বরই চাষের বাম্পার ফলন হয়েছে।
তার বাগানে ঝুলছে নারিকেল কুল, কাশ্মিরি কুল ও বলসুন্দরী নামের উন্নত জাতের সু-স্বাদু বরই। নিজের কেঁচো খামারের উৎপাদিত ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে অধিক লাভবান হয়েছেন তিনি। তার বাগানের বরই আকারে বড় তরতাজা ও উজ্জল রংয়ে সবার নজর কাড়ছে বরই।
জেসমিন বলেন, নিজ খামারের কেঁচো সারের কারণে অন্যান্য সারের পরিমান কম লেগেছে। তার আশা আগামী বছরে কোন খরচ লাগবে না। তাই আগামী বছরে এই বাগান থেকে লাভের অংকটাও আরও বেশি পাবেন বলে আশা করছেন জেসমিন। তার স্বামী স্কুল শিক্ষক ওছমান গণি ও কলেজ পড়ুয়া ২ মেয়েকে নিয়েই তার সংসার।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেলিম রেজা বলেন, সিংড়া উপজেলায় ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে প্রথম নারী উদ্যোক্তা জেসমিন আকতার। ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনের পাশাপাশি বরই চাষেও সফল হয়েছেন তিনি। আমরা কৃষি বিভাগ একজন নারী কৃষক হিসাবে জেসমিনকে ভার্মি কম্পোস্ট ও ফলবাগানের উপর প্রশিক্ষণ দিয়েছি।
জেসমিনের দেখা দেখি অনেক নারী কৃষক উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আমরা কৃষকদের পাশে থেকে সব ধরনের পরার্মশ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। কৃষকদের মাঝে দিন দিন পরিবেশ বান্ধব ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২ | সময়: ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ