ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় ৬৮ দিন কারাবাস: ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণে রুল

ঢাকা অফিস: রুলে ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তৈরির সঙ্গে জড়িত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ১০ আসামিকে কেন ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেনকে ৫০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আওলাদের স্ত্রী শাহনাজ পারভীনের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। আবেদনকারীর আইনজীবী এমাদুল হক বশির বলেন, দানেশ ঢালী, আলমগীর, সুমন ও অরূপ রায়সহ সাভারের ১০ জনের একটি চক্র আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে জাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তৈরির সঙ্গে জড়িত, যা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ খুঁজে পেয়েছে। আইনজীবী বলেন, আওলাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কয়েকটি ভুয়া মামলা করা হয়েছে। আশুলিয়া থানা পুলিশ আওলাদকে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে। পরে আওলাদের বিরুদ্ধে জাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং তাকে ঢাকা, কক্সবাজার, বাগেরহাট ও শেরপুরের বিভিন্ন আদালতে হাজির করা হয়, আইনজীবী এনামুল দাবি করেন।একই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, হাইকোর্ট ২০২০ সালের অক্টোবরে জাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকটি নির্দেশ জারি করে বলেছিল যে, যারা ওয়ারেন্ট জারি করবেন, সেই বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেটদের নাম, পদবি এবং অফিসিয়াল ফোন নম্বর অবশ্যই আদেশে উল্লেখ করতে হবে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২ | সময়: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর