নিয়ামতপুরে ভোটের সমীকরণ মিলাতে হিমসিম খাচ্ছে প্রার্থীরা

তোফাজ্জল হোসেন, নিয়ামতপুর: শেষ পর্যায়ে জমে উঠেছে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। চলছে মিছিল, মিটিং ও পথসভা, উঠান বৈঠক, মাইকিং। প্রার্থী ও তাদের নেতা-কর্মীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। নির্বাচন নিয়ে তুমুল উৎসাহ ও কৌতূহল বিরাজ করছে ভোটারদের মধ্যে। এই ভোট নিয়ে উপজলার বাইরের লোকদের মধ্যেও আগ্রহের কমতি নেই।
এই ভোটে শেষ পর্যন্ত কী হয় তা দেখানোর জন্য মুখিয়ে আছে ভোটাররা। তাদের চোখ এখন আগামী ৩১ জানুয়ারির দিকে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে কে জিতবে তা নিয়ে চলছে হিসাব-নিকাশ। নির্বাচনের শেষ সময়ের প্রচারণা এখন চরম পর্যায়ে। বিভিন্ন ইউনিয়নে ছোট-খাট কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভাবেই সকল প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এরি মধ্যে ভাবিচা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম (আনারস) নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিকবার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, পোষ্টার লাগাতে না দেওয়া, প্রচার-প্রচারণাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তেমনি একই অভিযোগ তুলেছেন নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া), বাহাদুরপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রঞ্জু রহমান (আনারস), রসুলপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারূল ইসলাম রবু (আনারস)।
অপরদিকে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা) ইভিএম উপজেলার সবকটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হবে।
হাজিনগর ইউনিয়ন লড়াই হবে দ্বিমুখী। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা) যিনি বর্তমান ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ভিপির সাথে। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজুল ইসলাম (আওয়ামীপন্থি) মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসতে না পারলেও নৌকা প্রার্থীর কিছু ভোট সে পাবে এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম একটু ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কে হাসবেন বিজয়ের হাসি তা চুড়ান্ত হবে ৩১ জানুয়ারী। এ ইউনিয়নে চার চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা), আমিনুল ইসলাম (আনারস), মিনহাজুল ইসলাম (ঘোড়া), আবুল বাশার (হাতপাখা)। ৩৬টি গ্রাম নিয়ে গঠিত হাজিনগর ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে মোট ভোটার ২২ হাজার ১৯১জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ১শ ৫৪ এবং মহিলা ভোটার ১১ হাজার ৩৭ জন।
চন্দননগর ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ত্রিমুখী। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান তোতা (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি (ঘোড়া) এবং তরুণ প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন শিমুল (আনারস)।
আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী বদিউজ্জামান ও দেলোয়ার হোসেন শিমুলের পক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই সাধারণ ভোটারদের ধারণা আওয়ামী লীগের কিছু ভোট স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে চলে যাওয়ায় বেকায়দায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতা।
আর এই ইউনিয়নে বিএনপির কোন প্রার্থী না থাকায় বিএনপির সমর্থিত ভোটাররা নৌকা ঠেকাও নীতিতে অবস্থান করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি ( ঘোড়া) কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী তরুণ নেতৃত্ব দেলোয়ার হোসেন শিমুলও কম যায় না। সেও বাঘ-সিংহের লড়াই এর ফাঁকে বেরিয়ে আসতে পারেন।
তবে শেষ হাসি কে হাসবেন তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত। চন্দননগর ইউনিয়নে পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) খালেকুজ্জামান তোতা, স্বতন্ত্র প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি (ঘোড়া), দেলোয়ার হোসেন শিমুল (আনারস), বদিউজ্জামান (চশমা), জাকারিয়া (মটরসাইকেল)।
চন্দননগর ইউনিয়ন ৩৫টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২১ হাজার ২১১ জন, এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৫৫৭ এবং মহিলা ভোটার ১০ হাজার ৬৫৪ জন।
ভাবিচা ইউনিয়নে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দ্বিমুখী। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম (আনারস) এর মাঝে। সাধারণ ভোটারদের ধারণা যদি সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট ও ফলাফল হয় তাহলে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম কিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ইউনিয়নে বিএনপির কোন প্রার্থী না থাকায় এবং বিএনপির বেশির ভাগ ভোটার ও সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়র শরিফুল ইসলামের পক্ষ নিয়েছে। তাই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে। সরকার দল ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব না, তাই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান না হলে এলাকায় কোন কাজ হবে না। ইউনিয়নের সচেতন ভোটাররা এমনটাই মনে করছেন। সেদিক দিয়ে তারা মনে করছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থীই বিজয়ী হবেন। তবে চুড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে ৩১ জানুয়ারি। এ ইউনিয়নে সাতজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ওবাইদল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম (আনারস), আব্দুল বারী (চশমা), দেলোয়ার হোসেন (মটরসাইকেল), জসিমউদ্দিন (হাতপাখা), জহিরুল ইসলাম ঘোড়া) ও জামশেদ আলী (অটো রিক্সা)। ৩৮টি গ্রাম নিয়ে ভাবিচা ইউনিয়ন গঠিত। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৬ হাজার ৭৭৭, এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ১৩৪ এবং মহিলা ভোটার ১৩ হাজার ৬৪৩ জন।
নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ত্রিমুখী। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম রেজা চৌধুরী বাদশা (আনারস) ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলামের ( ঘোড়া) মধ্যে।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বজলুর রহমান নঈমের অবস্থান দৃশ্যত ভালো মনে হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী পন্থি শহিদুল ইসলামও শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের ভোট দুভাগে ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে সুবিধা নিতে পারে বিএনপি পন্থি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম রেজা চৌধুরী বাদশা। অনেকের ধারণা আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ এ লড়াইয়ে বিএনপি পন্থি শামীম রেজা চৌধুরী বাদশা বিজয়ী হতে পারেন, অবশ্য যদি ভোট ও ফলাফল সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ হয়।
তবে বেশীরভাগ ভোটার মনে করছেন উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যানের বিকল্প নেই। তাই সচেতন ভোটাররা মনে করছেন বজলুর রহমান নঈমকেই বিজয়ী করতে হবে। এ ইউনিয়নে সাতজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বজলুর রহমান নঈম (নৌকা), শামীম রেজা চৌধুরী (আনারস), শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া), আমিনুর রহমান (মটরসাইকেল), আব্দুর রহমান (চশমা), একরামুল হক (হাতপাখা)।
এ ইউনিয়ন ৩৬টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার ২১ হাজার ৬২০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৪৫৮ এবং মহিলা ভোটার ১১ হাজার ১৬২জন।
রসুলপুর ইউনিয়নে লড়াই হবে ত্রিমুখী। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হোসেন বাবর (নৌকা), বিএনপি পন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন টিটু (ঘোড়া) এবং আওয়ামী পন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম রবু (আনারস)।
আনোয়ারুল ইসলাম রবু আওয়ামী লীগের অনেক ভোট পাবে বলে সাধারণ ভোটারদের ধারণা আর সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোতালেব হোসেন বাবরের অনেক ভোট কমতে পারে। এতে বিএনপি পন্থি সাজ্জাদ হোসেন টিটুর অবস্থান কিছুটা হলেও ভালে বলে মনে করছেন ইউনিয়নবাসী। সচেতন মহলের ধারণা আওয়ামীলীগের ভোট ভাগাভাগি হওয়ায় সাজ্জাদ হোসেন টিটু জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যদি ভোট সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ হয়।
রসুলপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার জন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোতালেব হোসেন বাবর (নৌকা), সাজ্জাদ হোসেন টিটু (ঘোড়া), আনোয়ারুল ইসলাম রবু (আনারস), মাহমুদ আলম (পাতপাখা)। ৫৯টি গ্রাম নিয়ে এ ইউনিয়ন গঠিত। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৩৯৭জন, এর মধ্যে ১৪ হাজার ৩১৩ জন এবং মহিলা ভোটার ১৪ হাজার ৮৪জন।
পাড়ইল ইউনিয়নে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ত্রিমুখী। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিব গ্যান্দা (নৌকা), অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিস্কৃত) আব্দুল মান্নন (মটরসাইকেল) এবং জামায়াত পন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী মাইনুল ইসলাম মিনু (চশমা)র মধ্যে। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ লড়াই এর সুফল পেতে পারেন জামায়াত পন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী মাইনুল ইসলাম মিনু। ইউনিয়নের সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন আওয়ামী লীগের ভোট দুভাগে বিভক্ত হয়ে মাইনুল ইসলাম মিনু বিজয়ী হতে পারেন।
তবে সচেতন ভোটাররা মনে করছেন এলাকার উন্নয়ন করতে হলে সরকারী দলের চেয়ারম্যান প্রয়োজন। তাই নৌকার কোন বিকল্প নেই। নৌকাকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীরা গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় এমনটি বাড়ী বাড়ী চষে বেড়াচ্ছেন।
চারজন প্রার্থী পাড়ইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ মুজিব গ্যান্দা (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মাইনুল ইসলাম মিনু (চশমা), আব্দুল মান্নান (মটরসাইকেল), মঞ্জুর রহমান (আনারস)। ৫১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত পাড়ইল ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৫ হাজার ১৩ জন, এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ১৪১ জন এবং মহিলা ভোটার ১২ হাজার ৮৭২ জন।
শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ত্রিমুখী। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপি পস্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমান (আনারস) এবং জামায়াত পন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী আল মামুন হকের (চশমা) মধ্যে।
এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলামের অবস্থান খুব ভালো। কারণ হিসাবে ইউনিয়নের সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন প্রত্যেক দলের প্রার্থী রয়েছে। যদিও বিএনপি ও জামায়াত দলীয় কোন প্রার্থী দেয় নাই। তবুর তাদের প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। যার যার দলের ভোট সে সে দল পাবে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। ইউনিয়নবাসী ইউনিয়নের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে নৌকার প্রার্থীকেই বিজয়ী করবেন বলে মনে করছেন।
এ ইউনিয়নে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওযামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (নৌকা), খলিলুর রহমান (আনারস) এবং আল মামুন হক (চশমা)। এ ইউনিয়নে মোট গ্রাম ২৯টি। মোট ভোটার ২৪ হাজার ৮০২ জন, এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ১৩২ জন এবং মহিলা ভোটার ১২ হাজার ৬৭০জন।
বাহাদুরপুর ইউনিয়নে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ত্রিমুখী। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশীদ মামুন (নৌকা), বিএনপি পন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান হোসেন (চশমা) এবং আওয়ামী পন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী রঞ্জু রহমান (ঘোড়া) এর মধ্যে।
রঞ্জু রহমান যুবলীগ নেতা এবং সাধারণ ভোটারের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগাতে পেরেছেন। আওয়ামী লীগের ভোটের প্রায় ২৫% ভোট রঞ্জু রহমানের বাক্সে পড়তে পারে বলে মনে করছেন সচেতন ভোটাররা। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ভোট কমে যাওয়ায় বিএনপি পন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান হোসেন বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সাধারণ ভোটারদের ধারণা।
অনেকে মনে করছেন যদি ভোট ও ফলাফল সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ হয় তাহলে বিএনপি পন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান হোসেন বিজয়ী হবেন। তবে কেউ কেউ মনে করছেন বিএনপি পন্থি আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুর রাশেল (মটরসাইকেল) থাকায় বিএনপিও ভোটও কিছুটা হলেও ভাগাভাগি হবে।
মঞ্জুর রাশেল কতটা প্রভাব ফেলতে পারেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ঐ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ থাকলেও কিছু কিছু আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সভাপতির ভূমিকা নিয়ে সন্দিহান।
তারপরেও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে নৌকাকেই বেঁচে নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা আওয়ামীলীগের শিবিরে। ৫২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত বাহাদুরপুর ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের মোট ভোটার ২৭ হাজার ৮৩৬জন, এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ৭১৪জন এবং মহিলা ভোটার ১৪ হাজার ১২২জন।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ | সময়: ৬:০০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ