সরকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করছে : বিভাগীয় কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার: সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পিছিয়ে নেই নারীরাও। বর্তমান সরকারের আমলে নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও বেশ জোরালো ভূমিকা রেখে চলেছেন নারীরা। দেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশ নারী ও শিশু। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে। এ লক্ষ্যে নারী ও শিশুদের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে। যা ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কথাগুলো বললেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর।
মঙ্গলবার রাজশাহীর পবায় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে নারী ও শিশু উন্নয়নে সচেতনামূলক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যুদ্ধ বিধবস্ত এ দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষা চালু করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুসহ একরকম পুরো দেশকেই হত্যা করা হয়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছেন। নারী ও শিশুর জন্য সরকার আলাদা বাজেট রেখেছেন। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগি ও যুৎসই পদক্ষেপে দ্রুত গতিতে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রতিটি শিশুই দেশের সম্পদ। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও সুস্থ্য ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের এখনকার শিশুকেই সুশিক্ষাসহ দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত করতে হবে। তখন প্রতিটি শিশুই যেন বলতে পারে, তাদের মা এমএ পাশ। আর এ জন্য নারীদের শিক্ষার হার বৃদ্ধি, ধর্মীয় কুসংস্কার দূর করা, সুন্দর পরিবেশ পাওয়া, এ বিষয়ে প্রচার বৃদ্ধি, নারীদের উৎসাহ ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরা, মেয়েরা স্বনির্ভর হওয়া প্রয়োজন। জরুরি হচ্ছে শিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত, স্বাক্ষর, নিরক্ষর নারীদের বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দিয়ে কিংবা কায়িক শ্রমে জীবিকার্জনে সমর্থ করে তুলতে হবে। যা সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে চলেছে।
জেলা তথ্য অফিস এর আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসন এর সহযোগিতায় শিশু ও নারী উন্নয়ন সচেতনামুলক যোগাযোগ কার্যক্রম (৫ম পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লসমী চাকম’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী সিভিল সার্জন ড. মো. কাইয়ুম তালুকদার, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন, জেলা তথ্য অফিস উপ পরিচালক নাফিয়া নাসরিন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী খান।
জেলা সহকারী তথ্য অফিসার আঃ আহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কিভাবে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে ও করোনা কালীন গর্ভবতী নারী ও শিশুদের কি কি করনীয় এবং ওটিজমসহ শিশু ও নারীদের অধিকার বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শেখ এহসান উদ্দিন, নওহাটা পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান হাফিজ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিমুল বিল্লাহ সুলতানা, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ পবা এসিও সিনিয়র ম্যানেজার সেবাষ্টিয়ান পিউরীফিকেশন, নওহাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর আলী, নওহাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুদ্দিন, নারী নেত্রী রহিমা বেগম, মনিরা খাতুন, পারিলা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলু, হরিয়ান ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম বাচ্চু, মৎস্য ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন, উপজেলা মসজিদের ইমাম গোলাম মাওলাসহ ইসলামিক ফাউণ্ডেশন প্রতিনিধি, বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সাংবাদিক, এনজির প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রমুখ।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২১ | সময়: ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ