মাহে রমজান

সানশাইন ডেস্ক : মাহে রমজান, সিয়াম সাধনা ও কিয়াম অনুশীলনের সর্বশ্রেষ্ঠ মাস। এ মাস কেবল উপবাস ব্রত বা সংযমের নয় বরং এ মাস আত্মসংশোধনেরও। এ মাস সহমর্মিতার, সহযোগীতার। এ মাস আল্লাহর ধ্যানের, এ মাস আল্লাহকে জ্ঞানের । এ মাসে বান্দাহগণ বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশ ও নির্দেশনা পালন করে তাঁরই নৈকট্য লাভে ধন্য হয়। পাপরাশি মোচনের অবারিত সুযোগ পেয়ে প্রতিটি বান্দাহ নিজেকে পাপমুক্ত করার নিদারুন সৌভাগ্য লাভ করে। রমজানের প্রথম দশকে সারা দুনিয়ায় মহান রবের রহমতের অবিরত ধারা বর্ষিত হয়। রহমতের এ ফল্গুধারায় মুমিন হৃদয় সিক্ত হয়, কোমল হয়। কঠিন পাষাণ অশান্ত হৃদয় রহমত সুধা পেয়ে প্রশান্তি লাভ করে। বান্দাহগণ মহান রবের কুদরতী চরনে লুটিয়ে পড়ে পাপের অনুশোচনা প্রকাশ করে, দুচোখ থেকে নোনাজল ছড়িয়ে ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কেঁদে উঠে। বান্দাগণের এ নিদারুন দৃশ্য দেখে মহান রব বান্দাহদেরকে দয়া ও ক্ষমার আওতায় অর্ন্তভূক্ত করেন। সিয়াম সাধনার এ শুভক্ষণ কল্যাণকামী মুমিনের জীবনে নিয়ে আসে নতুন এক শুভ ও স্বার্থক অধ্যায়।
মাহে রমজান মহান প্রভুর নীতিতে খোদাভীতি অর্জনের তাগিদ দেয়। এ মাস বান্দাহদেরকে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত অর্জন করার অবারিত সুযোগ দেয়। এর পাশাপাশি বান্দাহদেরকে সকল প্রকার মন্দকাজ, অশ্লীলতা, ভ্রষ্টতা সর্বোপরি আল্লাহর ক্রোধ উদ্রেককারী কাজ থেকে দুরে থাকতে কঠিন নির্দেশনাও দেয়। সত্যিই মাহে রমজানের প্রতিক্ষণ কল্যাণের, সৌভাগ্যের, পাপ মোচনের, জাহান্নাম থেকে চির মুক্তির। তাইতো মুহাক্কিক ওলামাগণ বলেন, ‘মাহে রমজান অনন্য ও অনুপম বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্টমন্ডিত’।


প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৩ | সময়: ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ