বাঘায় নির্বাচনোত্তর সহিংসতা ভাংচুর-লুটপাট, গ্রেফতার ৪

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় পৌর নির্বাচনের পর সংঘর্ষ, প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও লাটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। পৌর সদরে নির্বাচনোত্তর উত্তেজনা বিরাজ করছে। নির্বাচনে জয়ি হয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র আক্কাছের লোকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল ২৯ ডিসেম্বর বাঘা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আ’লীগের বিদ্রোহী প্র্রার্থী আক্কাছ আলী বিজয়ী হয়েছেন। এই বিজয়ের পরদিন থেকেই আক্কাছের কর্মী-সমর্থকরা নৌকার ভোটারদের মারপিট, ভাড়ি ভাংচুর, লুটপাট শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাচনের পর এসব অভিযোগে শুক্রবার রাতে পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। এর আগে একইদিন সকাল থেকে বাঘা থানা পুলিশ উপজেলা সদরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পাহারায় বসেছে।
স্থানীয়রা জানান, গেল পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নৌকার প্রার্থী পরাজিত হন সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর কাছে। এরপর থেকে এলাকায় প্রভাব খাটাতে শুরু করেন তার কর্মী সমর্থকরা। নৌকায় ভোট দেওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে আক্কাছের লোকজন আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আক্কাছের সমর্থিত রাজিব, হিমেল, আমিরুল ও রফাত নামে চার যুবককে আটক করে পুলিশ।
বাঘার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক নয়ন সরকার বলেন, নৌকার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারনে নৌকা বিরোধীরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। ঘরের টিভি ও বাথরুমের বেসিন ভাংচুর করেছে। নৌকা সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও নারী-পুরুষদের গালিগালাজ করা হয়েছে।
পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচিত আ’লীগের বিদ্রোহী মেয়র আক্কাছ আলীর কর্মী ও সমর্থকরা এলাকায় ভোটের পর থেকে ব্যাপক তান্ডব শুরু করেছে। তিনি জানান এসব ঘটনায় শুক্রবার রাতে বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এ অভিযোগ পেয়ে রাতেই চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনার পর থেকে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর ও হামলার শঙ্কায় পুলিশ পাহারা বসিয়েছে।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আক্কাছ সমর্থীত কতিপয় কর্মী তার নিজ এলাকা পাকুড়িয়ায় নৌকা সমর্থিত কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলাসহ ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করে এ বিষয়ে মামলা নিয়ে রাতে চারজানকে আটক করেছে। শনিবার সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাপারে পাঠানো হয়েছে। ওসি জানান নির্বাচন পরবর্তি সংঘর্ষ ও হামলার শঙ্কায় উপজেলা আওয়ামীী লীগ কার্যালয়ে আপাতত পাহারা দেওয়া হচ্ছে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৩ | সময়: ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ