বাঘায় বঙ্গবন্ধু চত্বরকে ঘিরে যানবহনের ষ্ট্যান্ড, বেড়েছে যানজট 

নুরুজ্জামান, বাঘা  :

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে রয়েছে চৌরাস্তার মোড়। এই মোড়কে ঘিরে নির্মান করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু চত্বর। এই চত্বরের চারদিকে রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টান। উপজেলার ব্যস্ততম এলাকা গুলোর মধ্যে এ মোড়টি অন্যতম। তবে এটি এখন অনেকটায় অ-রক্ষিত। কারণ এই চত্বরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে হালকা যানবহনের ষ্ট্যান্ড। এর ফরে বেড়েছে যানজট। এ সমস্যা নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ রাখার দাবি স্থানীয়দের।

 

 

বাঘা উপজেলার বঙ্গবন্ধু চত্বরটি উপজেলার পরিষদের ঠিক পশ্চিম-দক্ষিণ কর্নারে অব¯ি’ত। এর এক পাশে পুর্বালী ব্যাংক-সহ চারিদিকে রয়েছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর দক্ষিণে নারায়নপুর দিয়ে পদ্মা নদীতে যাওয়ার রাস্তা, এ ছাড়াও পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বাঘা বাজার হয়ে ঈশ্বরদী-রাজশাহী মহাসড়ক এবং হালকা পশ্চিম দক্ষিণ কর্ণারে আলাইপুর বি.জি.বি সীমান্ত ক্যাম্প। অত্র উপজেলায় যে সমস্ত ব্যস্ততম এলাকা ও মোড় রয়েছে তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু চত্বরটি অন্যতম। এক সময় এই চত্বরটিকে বাস টার্মিনাল মোড় বলা হতো। বর্তমানে এখানে সরকারি অর্থায়নে একটি গোলচত্ত্বর নির্মান করে তিন পাশে জাতির পিতার ছবি বসিয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বর নাম করণ করা হয়েছে।

 

 

সরেজমিন এই চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিনিয়ত লোকজনের ভীড় লেগেই আছে। এখানে চার রাস্তার মিলনস্থল (মাঝখানে) যে স্থানটিতে বঙ্গবন্ধু চত্বর বানানো হয়েছে তার পূর্ব দিকে ঈশ্বরদী যাওয়ার জন্য সিএনজি ষ্ট্যান্ড,একই ভাবে পশ্চিমে রয়েছে পাশ্ববর্তী চারঘাট হয়ে বানেশ্বর যাওয়ার সিএনজি ষ্ট্যান্ড এবং দক্ষিনে পদ্মা নদীতে যাওয়ার জন্য ইঞ্জিন চালিত ভ্যান এবং হালকা পশ্চিম-দক্ষিন কর্নারে রয়েছে আলাইপুর বি.জি.বি যাওয়ার জন্য ভুটভুটি ষ্ট্যান্ড। এর ফলে প্রতিনিয়িত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এর আরেকটি কারণ উপজেলায় যে সমস্ত বড় বড় ইলেকট্রনিক্স এবং ওষুধেরব্যবসা সমূহ রয়েছে তার সবগুলোই এই মোড়ে অবস্থিত।

 

 

স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী লিয়াকত হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু চত্বর এই মোড়টি বাঘার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড়। কেননা এখানে যেমন লোকজনের আসা যাওয়া, তেমনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পাশ্বেই উপজেলা পরিষদ ভবন হওয়ায় সব এলাকা থেকে বিপুল পরিমান লোকজন এই মোড়ে আসে। তিনি এখানে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক পুলিশের দাবি করেন।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, আমি যানজট নিরসনে জেলার একটি মিটিং-এ ট্রাফিক পুলিশ চেয়ে ছিলাম। উপজেলা পর্যায়ে দেয়ার বিধান নেই। তবে এ সমস্যা নিরসন হওয়া দরকার। আগামী আইন শৃঙ্খলা মিটিংএ উপস্থিত সকলের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩ | সময়: ৯:৫৭ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine