খিরা চাষে লাভবান কৃষক

তাড়াশ প্রতিনিধি: চলতি মৌসুমে অন্যবারের তুলনায় এবার বেশী পরিমানে খিরার চাষ হয়েছে। দেশী খিরার চাহিদা বেশী থাকায় এবং খিরা চাষে তুলুনামুলক ভাবে খরচ কম হওয়ায়, খিরা চাষের দিকে ঝুকিছে কৃষক।
সিরাজগঞ্জে কৃষকরা মনে করেন, দেশী খিরা বপনের পর ভালোভাবে যত্ন নিলেই অধিক পরিমাণে ফলোন পাওয়া যায়। আগাম খিরা চাষ করে কৃষকরা পাইকারি বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। ভাল দাম পেয়ে তারা বেজায় খুশি।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কৃষি অফিসের তথ্যনুযায়ি এ বছর উল্লাপাড়ায় ৩ শত হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। এ বছর প্রতি হেক্টরে জমিতে ২৪ মেট্রিক টন খিরা ১৮ মেট্রিক টন শসা উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে। উপজেলার পূর্ণীমাগাঁতী, বড়পাঙ্গাসী, উধুনিয়া, কয়রা, দূর্গানগর এবং লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে খিরা চাষ বেশি হয়ে থাকে।
সিরাজগঞ্জ জেলার সর্ব বৃহৎ খিরার হাট উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া বর্ধনগাছা ও চাকষা গ্রামে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক খিরা যাচ্ছে। আর এগুলো যাচ্ছে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, কালিগঞ্জ, যশোর, নোয়াপাড়া, দৌলাদ, খুলনাসহ, ঢাকার বড়বড় বাজারে।
চাকষা হাটে খিরা বিক্রেতা কৃষকেরা জানান, চলতি মৌসুমের শুরুতেই প্রতি বস্তুা খিরা ১২’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে চলমান বৈরী আবহাওয়ার কারণে খিরার দাম আরো বাড়তে পারে। গতবছর খিরার দাম কম থাকায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে এই অঞ্চলের কৃষকদের। কিন্তু এবছর খিরার দাম ভালো পাওয়ায় গতবছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে আশাবাদী তারা।
উপজেলার কয়রা রাখালগাছা গ্রমের কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ৯ একর জমিতে খিরার চাষ করেছেন। এবছর দাম বেশি পাওয়ায় খিরা চাষ করে আশানুরূপ ফল পেয়েছেন। প্রতি বিঘায় ১ লাখ টাকার অধিক খিরা বিক্রি করবেন বলে তিনি আশাবাদী। খাদুলি গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন জানান তিনি আড়াই বিঘা জমিতে খিরা এর পাশাপাশি স্কোয়াশ চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় ৫০ হাজার টাকা স্কোয়াস এবং ১ লাখ টাকার খিরা বিক্রি করবেন।
খিরা ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন জানান এবছর খিরার দাম কৃষকেরা ভালো পেয়েছে আমরাও বাজারে খিরা বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। তিনি জানান, উল্লাপাড়ার উৎপাদিত খিরার চাহিদা কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, কালিগঞ্জ, যশোর, নোয়াপাড়া, দৌলাদপুর এবং খুলনায় ভালো রয়েছে।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমি ইয়াসমিন জানান, এ বছর ৩ শত হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ২৪ মেট্রিকটন খিরা এবং ১৮ মেট্রিকটন শসা উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। বেশী ফলনের জন্য ও বৈরী আবহাওয়া থেকে খিরার গাছ রক্ষা করার জন্য কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি।


প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৪ | সময়: ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ