শহীদদের রক্তে কেনা আজকের এই স্বাধীনতা : এমপি আসাদ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবায় জাতীয় সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, এদেশের মানুষকে মাতৃভাষার জন্যও লড়াই সংগ্রাম করতে হয়েছে। আর পাকিস্তান যে প্রকৃত অর্থে এই অঞ্চলের মানুষের নিজের দেশ ছিল না তা তারা (তৎকালীন পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী) শুরুতেই বুঝিয়ে দিয়েছিল। পরাধীনতাটা তখনই টের পাওয়া গিয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন। এক নদী রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। যা ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চুড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে হয়েছিল। যা ছিল বাঙালির হাজার বছরের আরাধনার ফসল। মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পবা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নয় মাসব্যাপি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহিদ ও দু লক্ষ মা বোনের চরম আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। বাঙালিকে এমন মন্ত্রেই উজ্জিবিত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। যে আদর্শিক নেতার কথায় দেশের স্বাধীনতার জন্য হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছে এই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের রক্তের বিনিময়েই আজকের এই স্বাধীনতা, এই বাংলাদেশ। তাদের সেই রক্ত বৃথা যায়নি।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যবিত্ত্ব দেশের পথে। মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি, রিজার্ভের পরিমান বহুলাংশে বৃদ্ধি ও জিডিপিতে বাংলাদেশ আজ অনেক দেশকেই অতিক্রম করে চলেছে। যমুনা নদীর উপর বংগবন্ধু সেতু,পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল নির্মান এখন বাস্তবতা। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে,রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র,পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা বন্দর, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দরসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। শতাধিক ইকোনোমিক জোন, চট্রগ্রাম -কক্সবাজার রেললাইন আর জেলায় জেলায় ফেরির বদলে বড় বড় সেতু এখন বাস্তবতা। লক্ষে পৌছাতে এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত এঁর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শামসুন্নাহারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইয়াসিন আলী, ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. আরজিয়া বেগম ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. ওয়াজেদ আলী খাঁন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আরএমপি’র পবা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন, পবা উপজেলা প্রকৌশলী মুকবুল হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবু বাশির, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিমুল বিল্লাহ সুলতানাসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু’র স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ করে। যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচির অংশ হিসেবে পবা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়।


প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ | সময়: ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ