মোহনপুরে দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক সাময়িক বরখাস্ত

মোহনপুর প্রতিনিধি :
রাজশাহীর মোহনপুরে গার্লস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক মন্ডলের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক মন্ডলে কে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করেছেন কলেজ পরিচালনা কমিটি। নির্ধারিত সময়ে শোকজের লিখিত জবাব না দেয়ায় গত ২১ (মার্চ) কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি দিলিপ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অধ্যক্ষ আব্দুল মালেকে সাময়িক বরখাস্ত করে উপাধ্যক্ষ আব্দুল আলিমকে (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পরিচালনা কমিটির সভাপতি দিলিপ কুমার সরকার এতথ্য প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন । উক্ত শোকজ ও সাময়িক বরখাস্তের কপি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত গত ১১-০৩-২০২৪ ইং তারিখ আপনি (অধ্যক্ষ) নিয়মিত কলেজে উপস্থিত না হওয়া, গভর্নিং বডির সভা আহ্বান পত্র প্রত্যাখ্যান করা ও সভা না ডাকা, বেতন ও স্কেল পরিবর্তনে শিক্ষকদের নিকট ৪৮,০০,০০০/- (আট চল্লিশ লক্ষ) টাকা ঘুষ গ্রহণ, কলেজ সরকারী করার অজুহাতে ৫৭,০০,০০০/- (সাতান্ন লক্ষ) টাকা শিক্ষকদের নিকট চাঁদা আদায়, বিগত ১০ বৎসরে প্রায় ২,০০,০০,০০০/- (দুই কোটি) টাকা খরচের হিসাব গভর্নিং বডিকে না দেওয়া, নিয়োগ প্রদান না করেই সরকারের নিকট তৃতীয় শিক্ষকের তালিকা প্রদান করা মর্মে নৈতিক শৃঙ্খলন,ঘুষ, দুর্নীতি চাঁদাবাজির অভিযোগ আপনাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আজ পর্যন্ত উক্ত কারণ দর্শানো পত্রে উত্তর দেন নাই। তাছাড়া আপনার স্মারক নং- মোগাক/সাং/০২(৩)/২০২৪ তারিখ পত্রে এ্যাডভোকেট এম, আমিনুল ইসলামকে একটি লিগ্যাল নোটিশের জবাব প্রদান করেন।

 

 

উক্ত জবাবে আপনার (অধ্যক্ষ) দৃষ্টিতে তথাকথিত শিক্ষক মৃত, সেলিম আহম্মদকে ০৮/১২/২০০২ ইং তারিখ হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত আপনি নিজে বেতন প্রদান করেন। উক্ত সেলিম আহম্মদের নিয়োগ বৈধ নয় মর্মে আপনি উক্ত লিগ্যাল নোটিশে স্বীকারও করেছেন। মৃত সেলিম আহম্মদ এর স্ত্রী গ্রাচ্যুইটি সহ অবসর জনিত টাকা উত্তোলনের জন্য আপনার দার¯’ হলে আপনি ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা ঘুষ দাবী করেন। আপনি (অধ্যক্ষ) প্রভাষক মৃত সেলিম আহম্মদের নিয়োগ অবৈধ বলে লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিয়েছেন সেইহেতু ২০০২ ইং সাল হতে ২০২২ ইং সাল প্রায় ২০ বছর বেতন প্রদান করে প্রায় ৮০,০০,০০০/- (আশি লক্ষ) টাকা সরকারী অর্থ তছরুপাত করেছেন।

 

উপরে উল্লেখিত কাজগুলির জন্য আপনার (অধ্যক্ষ) নৈতিক শৃঙ্খলন, সভাপতির নির্দেশনা উপেক্ষা, ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে চাকুরী ও ছুটি বিধি মোতাবেক আপনাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।এসব অভিযোগে বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেকের মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি দিলিপ কুমার সরকার জানান, অধ্যক্ষ আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায়। অধ্যক্ষকে (শোকজ) করা হয়। ৩ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। কিন্ত যথাসময়ে জবাব না দেওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

 

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৪ | সময়: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine