মেরিল বেবি’র পৃষ্ঠপোষকতায় উদ্যাপিত হলো ‘বর্ণমেলা’

সানশাইন ডেস্ক : স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড-এর ব্র্যান্ড মেরিল বেবি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ২১ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম আলো আয়োজিত ‘বর্ণমেলা’। যেখানে মেরিল বেবি’র পাশাপাশি সহযোগিতায় ছিলো স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড-এর আরো দুই ব্র্যান্ড সুপারমম এবং সেপনিল।
এবারের বর্ণমেলায় বরাবরের মতোই শিশুদের জন্য উপযোগী খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক আয়োজন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা-সহ ছিলো বর্ণাঢ্য সব আয়োজন। বাংলা ভাষা ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে, বাংলা বর্ণ শেখাকে মজায় মজায় আরো উপভোগ্য করে তুলতে মেরিল বেবি’র বর্ণিল বর্ণ স্টলে ছিলো ‘বর্ণ শিখি বর্ণ রং করি’ কার্যক্রম। এছাড়াও শিশুদের সময়কে আরো রঙিন করতে ছিলো ‘পাজ্ল মেলাও ছবি বানাও’ খেলা। শিশুদের নিয়ে স্টলে আসা বাবা-মায়েরা মেরিল বেবি’র ‘আদরে গড়া ভবিষ্যৎ’ কার্যক্রমটির সাথে পরিচিত আছেন আগে থেকেই। এবারও তারা নিজের সন্তানকে নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনা শেয়ার করেছেন ‘আদরে গড়া ভবিষ্যৎ’ এর বুথে এসে। ১০ লক্ষ টাকা’র শিক্ষাবীমার উদ্যোগটিকে তারা ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাছাড়াও বাচ্চারা গিফট হ্যাম্পার পেয়ে খুবই আনন্দিত হয়েছে।
সেপনিল ‘আমার বর্ণ আমার হাতে’ স্টলে এসে শিশুরা নিজেদের পছন্দমতো বর্ণগুলো মাটি দিয়ে নিজেরাই তৈরি করেছে, পাশাপাশি রংও করেছে। তাই নয় সেগুলো তারা সাথে করে নিয়েও গেছে ঘর সাজানোর জন্য। বরাবরের মতো হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা, উপকারিতা ও সঠিক নিয়মাবলি শেখানো নিয়ে সেপনিল এর ছিলো পাশর্^ আয়োজন।
বর্ণমেলায় প্রতিবারের মতো এবারও ছিলো সবার প্রিয় সুপারমম-এর বাড়ি। নবজাতক ও তাদের মায়েদের সুবিধার্থে যেখানে সবসময় থাকে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, ডায়াপার পাল্টানোর সুব্যবস্থা। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাবুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরামর্শ নেয়ার সুযোগ মায়েদের চিন্তামুক্ত রাখে মেলাজুড়ে ও তারপরেও।
এবারের বর্ণমেলা’র মূল প্রতিপাদ্য ছিলো ‘বর্ণমেলায় এসো, রূপকথায় ভাসো’। দিনব্যাপী বর্ণমেলা’র এই আয়োজনে ছিল বর্ণ প্রদর্শনী, বর্ণ মুখোশ, বণর্ প্রযুক্তি, বর্ণ আঁকা, মস্ত বর্ণ, বিজ্ঞান বাক্স, নাগরদোলা, সিসিমপুর, গুফি ওয়ার্ল্ড-সহ বর্ণ নিয়ে নানা আয়োজন, আর এই সবই রূপকথার জগতকে ঘিরে। তবে মূল আকর্ষণ ছিলো রূপকথার চরিত্রের অবলম্বনে শিশুদের যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা। শিশুরাও মনের আনন্দে ডালিম কুমার, শুয়োরাণী-দুয়োরাণী ও চাঁদের বুড়ি সেজে অংশগ্রহণ করেছে। পুরো মেলা প্রাঙ্গণ ছিলো কচি-কাচাদের কোলাহলে পূর্ণ।
স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড-এর হেড অব মার্কেটিং ড. জেসমিন জামান বলেন, “বাংলা ভাষার প্রতি পরবর্তী প্রজন্মের আগ্রহ ও ভালোবাসা বাড়ানোর ভাবনা থেকেই প্রথম আলো’র উদ্যোগে বর্ণমেলা’র পৃষ্ঠপোষক হিসেবে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড-এর ব্র্যান্ড মেরিল বেবি কাজ করে যাচ্ছে।”
এবারের বর্ণমেলা’র ভিন্নধর্মী আয়োজন ও দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশ দারুণ উপভোগ করেছে মেলায় আসা সকল শিশু এবং তাদের অভিভাবকেরা।