পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার আধুনিকায়ন দ্বার ও সড়ক নির্মাণে লাল ফ্লাগ দিয়ে সিমানা নির্ধারণ

রানা হামিদ,বদলগাছী:
ইউনেস্কো স্বীকৃত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক নিদর্শন নওগাঁর বদলগাছীর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের প্রবেশ পথে আধুনিকমানের দ্বার ও সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহনের জন্য লাল ফ্লাগ দিয়ে সিমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) মিল্টন চন্দ্র রায়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সিমান নির্ধারণের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা) আশীষ কুমার বসু, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী নূরে আলম সিদ্দিক, পাহাড়পুর জাদুঘর কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম’সহ উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারগন ।

 

১২০ ফিট চওড়া করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। সাড়ে ৫শ মিটার মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পে থাকছে, ৩৪ ফুট পিচঢালা পাকাসড়ক। দুপাশে দর্শনার্থীদের চলচলের জন্য পাথওয়ে ও ছোট লেক। মূল গেটের কাছে ৪শ গুন ৪শত ফুট চওড়া করে জমি অধিগ্রহন করা হবে। এখানে নির্মাণ হবে রেস্ট হাউজ, গাড়ি পার্কিং,ক্যাফেটেরিয়া, গনশৌচাগারসহ থাকবে অন্যান্য সুবিধাদি। এই কাজের মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে পাহাড়পুর। শতবছরের ঐতিহাসিক এই নির্দশন দর্শনে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের এতোদিন মরণ বাঁকের ঝুঁকিপূর্ন সরু রাস্তা দিয়ে বৌদ্ধবিহারে আসতে হতো। মান্ধাতার আমলের এই ব্যবহার অনুপযোগি রাস্তার পরিবর্তে দ্রুতই প্রস্তাবিত আধুনিকমানের মহাসড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহন শেষ করে প্রকল্পের কাজ শুরু করবেন এমন আশাবাদী সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

 

প্রধান সড়ক থেকে বৌদ্ধবিহারে আসার একটি আধুনিকমানের সড়ক না থাকার প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পর্যটকদের। প্রধান সড়ক থেকে পুরনো একটি সরু দেড় কিলোমিটারের যে রাস্তা রয়েছে সেই রাস্তার ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি বাঁকের কারণে বিভিন্ন উৎসবে যানজটের সৃষ্টি হলে যানবাহন অনেক দূরে রেখে পর্যটকদের পায়ে হেটে আসতে হয়। এছাড়া মোড় ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে অনেকটাই নিয়মিত। এই ঝুকিপূর্ন রাস্তার বিষয়ে পর্যটকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেতে হয়। একটি আধুনিক মানের প্রশস্ত সড়কের অভাবে বছরের পর বছর দেশী-বিদেশী পর্যটকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে গৃহিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পর্যটকদের আর ভোগান্তির শিকার হতে হবে না।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪ | সময়: ৮:৫৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine