কোচিং সেন্টারের নবীনবরণ উৎসবে তিন প্রধান শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও নতুন কারিকুলামকে উপেক্ষা করে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার তিন প্রধান শিক্ষক একটি কোচিং সেন্টারের অনুষ্ঠানে কোচিং ও প্রাইভেটকে উৎসাহিত করে বক্তব্য প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার উপজেলার কুমারপুর মাঠে এক্সিলেন্ট কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও নবীনদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
কোচিং এর পরিচালক ও মহিশালবাড়ী শাহ সুলতান (রহঃ) কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক ওমর ফারুক জুয়েলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগৈর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেওপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল।
ওই কোচিং সেন্টারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রাইভেট কোচিংকে উৎসাহিত করে বক্তব্য প্রদান করেছেন কোচিংবাজ শিক্ষক হিসেবে পরিচিত গোগ্রাম স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (সহকারি প্রধান শিক্ষক) আব্দুল বারী, প্রেমতলী সুকবাসিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ পারভীন, হরিন বিকসা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, কুমুরপুর আলিকুলি বেগ মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মাহাতাব উদ্দিন, পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তিতুমির।
বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দিয়ে তার পক্ষ থেকে সকল বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার তুলে দেন।
এক্সিলেন্ট কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও মহিশালবাড়ী শাহ সুলতান (রহঃ) কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক ওমর ফারুক জুয়েলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অকপটে কোচিং সেন্টার পরিচালনা ও অন্য তিন জন শিক্ষককে উপস্থিত করে অনুষ্ঠান করার কথা স্বীকার করেন। তবে কোচিং সেন্টারে জড়িত হওয়া যাবে না শিক্ষকদের জন্য এমন সরকারি নির্দেশনা নিষেধাক্কা আছে কিনা তার জানা নেই বলে জানান।
এ ব্যপারে রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন বলেন, শিক্ষকদের এসব কাজে জড়িত হওয়ার সুযোগ নেই। কোচিং বা প্রাইভেট বাণিজ্যকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪ | সময়: ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ