সর্বশেষ সংবাদ :

নগরীতে সরকারি চোরাই ঔষধ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরী’র রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পুরাতন ভবনে নীচতলায় ঔষধ মার্কেটের একটি দোকানে অভিযান পরিচালনা করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।
এসময় প্রায় ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের সরকারি চোরাই ঔষধ ও মাদকদ্রব্য প্যাথেডিন ও মরফিন ইনজেকশন এবং নগদ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতি: ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কে. এম. আরিফুল হক পিপিএম-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ড. মো: রুহুল আমিন সরকারের নেতৃত্বে এসআই মসলেম উদ্দিন ও তার টিম মহানগর এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ডিউটি করছিলো। এসময় তাঁরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পুরাতন ভবনের নীচ তলার একটি ঔষুধের দোকানে মালিক জেনেশুনে সরকারি চোরাই ঔষধ বিক্রি করছে। এছাড়াও সেখানে রেজিস্ট্রেশন বিহীন, মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং সরকারি ঔষধ বোতল ও লেবেল পরিবর্তন ও মোড়কজাত করে বিক্রি ও বাজারজাত করছে।
উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশের ওই টিম বিষয়টি ঔষধ সংক্রান্ত হওয়ায়, জেলা কার্যালয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, রাজশাহীকে অবগত করে এবং তাদের ও রাজপাড়া থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মেসার্স নাজমুল ড্রাগস অ্যান্ড সার্জিক্যাল নামক ঔষুধের দোকানে উপস্থিত হলে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (৬২) কৌশলে পালিয়ে যায়। এসময় দোকান তল্লাশি করে বিভিন্ন রকম প্রায় ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি চোরাই ওষুধ, মাদকদ্রব্য প্যাথেডিন ও মরফিন ইনজেকশন এবং নগদ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার হয়।
এরপর পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য ডিবি পুলিশ আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার রাজপাড়া থানার বিল সিমলার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে।তার বাড়ি তল্লাশি করে সেখান থেকেও সরকারি চোরাই ঔষধ উদ্ধার হয়।
পলাতক আসামিসহ তার সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় পেনাল কোড ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৪ | সময়: ৪:১৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর