রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন: নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিলের দাবি এমপি এনামুলের

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে পুনঃতফসিলের আবেদন জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক। মঙ্গলবার এনামুল হক নিজেই নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এই আবেদন জমা দিয়েছেন।
এনামুল হক এই আসনের বর্তমান এমপি। ২০০৮ সাল থেকে পর পর তিনটি নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। এই নির্বাচনে তাঁর প্রতীক ছিল কাঁচি।
এখানে এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবার নির্বাচন করেন আবুল কালাম আজাদ। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এনামুল হককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইসি তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে।
তবে ঘোষিত ফল অনুযায়ী, আবুল কালাম আজাদ ১ লাখ ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট। এ আসনে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে এত ভোটার কেন্দ্রে ছিল না বলে দাবি এনামুলের।
সিইসির কাছে দেওয়া আবেদনে এনামুল হক বলেছেন, ‘আবুল কালাম আজাদ নৌকার প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে যে সকল সহিংস কার্যক্রম সংগটিত করেছেন তার অভিযোগগুলো ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। দুটি মামলা হলেও তার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’
অভিযোগে বলা হয়, ‘আবুল কালাম আজাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর অনেকের বিরুদ্ধে মামৎলা রয়েছে, সে সকল মামলায় বেশ কয়েকজন ক্যাডার গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে পড়ে। এতে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন নির্বাচনে প্রভাব পড়ে এবং সাধারণ জনগণ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। নির্বাচনকালীন সময়ে প্রার্থীসহ তার ক্যাডার বাহিনী দ্বারা আমার নির্বাচনী এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র্রে ঢুকতে না দেয়া, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান, আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধরসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায়।’
অভিযোগে এনামুল আরও বলেন, ‘আমি উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখতে পেয়েছি, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল না। ভোট গ্রহণের শুরু থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে ১৫-২০ ভাগ ভোট সংগ্রহ হয়, অথচ বিকেল ৩-৪টার মধ্যে নৌকার প্রার্থীর লোকজন জোরপূর্বক ভোটের ফলাফল তাদের অনুকুলে নেয়।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল প্রদান করা হয়েছে। সেটা হিসেব করলেও সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও ভোট পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন এলাকায় আমার নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে নৌকা প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী।’ তাই এ আসনের নৌকার প্রার্থীর ফলাফল বাতিলের পাশাপাশি পুনঃতফসিল ঘোষণা করার অনুরোধ জানানো হয়।’


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৪ | সময়: ৭:২২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ