৩-০ হার প্রাপ্য ছিল না’, সুযোগ হাতছাড়া নিয়ে হাফিজের আক্ষেপ

স্পোর্টস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে ব্যর্থতার বৃত্ত এবারও ভাঙতে পারল না পাকিস্তান। সদ্য সমাপ্ত সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়ে তারা গড়ল একটি দেশে কোনো দলের টানা সবচেয়ে বেশি টেস্ট হারের বিব্রতকর রেকর্ড। তবে এবারের সফরের এমন ফল তাদের প্রাপ্য ছিল না বলে মনে করেন মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও টিম ডিরেক্টর আক্ষেপ করলেন অনেক সুযোগ হারানো নিয়ে।
সিডনিতে শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টেস্টে ৮ উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। সিরিজের আগের দুই ম্যাচেও পেয়েছে তারা একই স্বাদ। এই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় টানা ১৭ টেস্টে হেরেছে এশিয়ার দলটি। টেস্ট ইতিহাসেই আর কোনো দল কোনো দেশে টানা এত ম্যাচ হারেনি। সেই ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বরে এই সিডনিতেই মুশতাক আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এসেছিল পাকিস্তানের সবশেষ জয়।
তবে এবার ব্যর্থতার সেই বৃত্ত ভাঙার সুযোগ ছিল পাকিস্তানের সামনে, হাফিজ অন্তত তাই মনে করছেন। বিশেষ করে মেলবোর্ন টেস্টের হার মানতে পারছেন না তিনি। ওই ম্যাচে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ভালোভাবেই চেপে ধরেছিল পাকিস্তান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাগাম ধরে রাখতে পারেনি তারা। পরে ৩১৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায়ও সম্ভাবনা জাগিয়ে হারে ৭৯ রানে।
সিডনিতে শুরুটা ভালো করে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে লিড নেয় তারা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অস্ট্রেলিয়াকে দিতে পারেনি বড় রানের লক্ষ্য। ১৩০ রান তাড়ায় অনায়াসেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। এদিন ম্যাচ শেষে হাফিজের কণ্ঠে ঝরেছে উত্তরসূরিদের অনেক সুযোগ নষ্টের হতাশা। তবে দলের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিয়ে সামনে ভালো কিছুরই প্রত্যাশা করছেন তিনি।
“দল হিসেবে কিছু সুযোগ পেয়েছিলাম, যেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। বোধহয় ৩-০ তে হার আমাদের প্রাপ্য ছিল না। দল হিসেবে এই সিরিজে সত্যিই কিছু ভালো কাজ করেছি, কিন্তু ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো জিততে পারিনি, আর এই কারণেই ৩-০ তে হেরেছি। সিরিজটি আমরা হেরেছি, তবে খেলোয়াড়দের প্রতিভা দেখে বলতে পারছি, আমরা শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। এর কিছু ঝলকও আমরা দেখেছি।”
“এই ম্যাচগুলোতে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল, যেগুলো আমাদের কাজে লাগানো উচিত ছিল, কারণ ওই মুহূর্তগুলো ব্যবধান গড়ে দিতে পারত। বিশেষ করে, মেলবোর্নে তাদের (অস্ট্রেলিয়া) যখন ১৬ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি এমন হতে পারত, যেখানে আমাদের কেবল ১৪০-১৫০ রান তাড়া করতে হতো, কিন্তু সেটা ৩০০ পেরিয়ে যায়।”
সিরিজ জুড়েই পাকিস্তানকে ভুগিয়েছে তাদের ফিল্ডিং, নির্দিষ্ট করে বললে স্লিপ ফিল্ডিং। সিডনিতেই যেমন, ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলেছেন প্রথম স্লিপে থাকা অভিষিক্ত সাইম আইয়ুব। পরে মিড-অফে মার্শের ক্যাচও ধরতে পারেননি তিনি। পার্থ ও মেলবোর্নেও এই দুই অস্ট্রেলিয়ানের ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি পাকিস্তানের ফিল্ডাররা।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৪ | সময়: ৬:০১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ