নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে তানোর- গোদাগাড়ীতে যোগাযোগ ব্যাবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবো: ডালিয়া

স্টাফ রিপোর্টার : 

আগামী ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী- তানোর) আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী আয়েশা আক্তার ডালিয়া তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ৭ দফা ইশতেহারে তানোর-গোদাগাড়ীকে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ কালভাট ও বিদ্যুৎ কে সব্বোর্চ গুরুত্ব দিয়ে তিনি তার পরিকল্পনার কথা বলেন। রবিবার (৩১ ই ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী মহানগরীর নানকিং দরবার হলে তিনি এই ইশতেহার ঘোষণা করেন। তানোর-গোদাগাড়ী দুই উপজেলার শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, “ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষার মাধ্যমে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ, এমপিও ভুক্ত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক সুরক্ষা করা। গরীব মেধাবী দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি ব্যাক্তিগত উদ্যেগে আরশাদ আলি শিক্ষা বৃত্তি ব্যাবস্থা করা। স্বাক্ষরতার হার ১০০% এ উন্নিত করে গোদাগাড়ী-তানোর কে শতভাগ শিক্ষিত ঘোষণা করা। সরকারি বরাদ্দের সঠিক ব্যাবস্থাপনা করা। কর্মমুখী শিক্ষায় জোর দিয়ে দ্ইু উপজেলার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ব্যাবস্থা করা”।

 

কর্মসংস্থানে গুরুত্বরোপ করে আয়েশা আক্তার ডালিয়া বলেন, “প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মানব সম্পদের সম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আত্নকর্মসংস্থান  ব্যবস্থা করা, ব্যবসার অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি পূর্বক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে সরকারি/বেসরকারি উদ্যেগে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান”।

 

 

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ডালিয়া বলেন, “ গোদাগাড়ী-তানোর অন্তর্গত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধিসহ সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। প্রয়োজন অনুযায়ী অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসক নিয়োগ, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, টেকনোলজিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবায় গুনগত মান পরিবর্তন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যাবস্থা করা। গোদাগাড়ী-তানোরে আন্তজার্তিকমানের হাসপাতাল নির্মাণ। একটি উন্নত নার্সিং ইনস্টিউট প্রতিষ্ঠা করা”।

 

রাস্তাঘাট-ব্রীজ কালভাট ও বিদ্যুতের উপরে সব্বোর্চ গুরুত্ব দিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী বলেন, “ গ্রামের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের নিশ্চিত করা। গোদাগাড়ী-তানোর প্রতিটি রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন করে যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি করা এবং দুই উপজেলার যেগুলো রাস্তা অবহেলিত ও দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার হয়নি সেগুলো রাস্তা সংস্কার করা”।

 

কৃষি, হাট-বাজার এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষি নির্ভর গোদাগাড়ী-তানোর কৃষকের জীবন মান উন্নয়ন করা। নায্য মূল্যে সার, কৃষি যন্ত্রপাতি সহজলভ্য করা। কৃষকদের জন্য সরকারি বরাদ্দের অনুদান সঠিক ভাবে বন্টন নিশ্চিত করা। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কৃষি পণ্যে কৃষকদের জন্য ব্যাংক ঋণ সহজিকরন। রপ্তানি যোগ্য উদ্বৃত্ত কৃষি পণ্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এর মাধ্যমে ব্যাবস্থা করা। ফসলের নায্য মূল্য নিশ্চিত করা।

 

 

বেলুন প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়েশা আক্তার ডালিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সব্বোর্চ সম্মানের কথা জানিয়ে তিনি ইশতেহারে বলেন, জাতির শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সব্বোর্চ সম্মান দেওয়া হবে এবং তাদের সব্বোর্চ সম্মান রক্ষা করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সকল ধরণের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

 

 

মানব সম্পদ ও সামাজিক সুরক্ষার নিশ্চিতে তিনি বলেন, মানব সম্পদ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করা। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সকল মানুষের সম অধিকার নিশ্চিত করা। প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা , বয়স্ক ভাতা সহ সকল সরকারি অনুদানের সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি জানান।

 

৭ দফা ইশতেহারে তানোর-গোদাগাড়ী দুই উপজেলা মানুষের প্রয়োজনীয় সকল মৌলিক অধিকার এর কথা বলেন প্রার্থী নিজেই। পরবর্তীতে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আয়েশা আক্তার ডালিয়া।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩ | সময়: ৫:৩৮ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine