চারঘাট-বাঘায় দলছুটদের অনেকেই স্বতন্ত্র থেকে নৌকায় ফিরছেন

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী ৬ চারঘাট-বাঘা আসনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তবে এলাকায় জনসমর্থন ও প্রচারনায় এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তিনবারের নির্বাচিত সাংসদ এবং দুই বারের সফল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এখানে আ’লীগ মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর রায়হানুল হক রায়হানের কাছ থেকে ইতোমধ্যে অনেকেই তাদের আসল ঠিকানা নৌকায় ফিরতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ভোটার ও দলীয় নেতা-কর্মীরা।

স্থানীয় লোকজন জানান, শাহরিয়ার আলম দেশ স্বাধীনের পর ২০০৮ সালে চারঘাট-বাঘা থেকে প্রথম নির্বাচিত নৌকার মাঝি ।এর আগে এই আসনে কখনো নৌকার বিজয় হয়নি। তাঁর সঙ্গে আজকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক রায়হান এর আগেও বিদ্রোহী হয়ে দু’বার খেলেছেন। তবে জয়যুক্ত হতে পারেননি। এবার চতুর্থ বারের ন্যায় যখন শাহরিয়ার আলম আবারও নৌকা পেলেন, ঠিক সেই মুহুতে স্বতন্ত্র হিসাবে দাড়িয়ে গেলেন রায়হানুল হক। তবে তাতে কোন লাভ হবেনা। কারন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে বিগত সময়ে যে সব নেতারা ছিলেন, এখনো তারাই রয়েছেন। বরং অনেক কর্মী তাদের ভুল বুঝতে পেরে ঐ সব নেতাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে তাদের সঠিক ঠিকানা নৌকার দিকে ফিরতে শুরু করেছেন।

বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন ,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের নির্বাচনে যাদের হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন তাঁদের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোট করারও আহবান জানিয়েছেন। এদিক থেকে যারা পূর্বে বিদ্রোহী হয়েছিল এবার তারা স্বতন্ত্র খেতাব নিয়ে মাঠে নেমেছে। তবে চারঘাট-বাঘায় এ খেতাবের কোন মুল্য নেই। কারন শাহরিয়ার আলমের একটানা ১৫ বছরের দৃশ্যমান উন্নয়ন ও ভিডিও ফুটেজ দেখে দলছুট নেতাদের সাথে থাকা অনেকই ভুল বুঝতে পেরে তাদের আসল ঠিকানা নৌকার দিকে ছুটতে শুরু করেছেন।

অপর দিকে চারঘাট উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম বলেন, পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। আমাদের নেতা শাহরিয়ার আলম যেমনটি যোগ্য ,তেমনটি পরিশ্রমীও বটে। তিনি দিন-রাত সমানে দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের কাছে ছুটছেন। তাঁর হয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারো মাঠে রয়েছেন তাঁর পিতা ও ছোট ভাই। তবে এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে তাঁর বড় ছেলে। এ খবর শুনে অনেকেই তাঁর ছেলেকে দেখার জন্য ছুটে আসছেন।

ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, নির্বাচনী প্রচারনা যখন জম-জমাট তখন মাইকিংএ শুনতে পাচ্ছি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে বাঘা উপজেলার আ’লীগের চার নেতার নাম। সেখানে বলা হচ্ছে, লাভলু-আক্কাছ যেখানে,কাচি মার্কা সেইখানে, মোকাদ্দেস-মেরাজের মার্কাকি, কাচি ছাড়া আবার কি । অথচ রায়হানুল হক এই প্রচারনায় তাঁর নিজ উপজেলা চারঘাট এর কোন নেতার নাম সম্পৃক্ত করতে পারেননি। এতে চারঘাটের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে সরেজমিন স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক সমর্থী বাঘার দু’জন ভোটারের সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার সর্তে বলেন , যারা স্বার্থের কারনে দলীয় প্রতিক ছেড়ে বিদ্রোহী হয় , তাদের সাথে বার-বার থাকা সম্ভব নয়। এ কারনে আমরা আনেকেই নাড়ির টানে নকল ঘর ছেলে-আসল ঘরে ফিরছি।

 

 

 

 

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩ | সময়: ৬:৫৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine