রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। প্রথম প্রহর থেকেই নগরীর শহীদ মিনারগুলোতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ।
দিবসটি উপলক্ষে নগরীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কুচকাওয়াজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক: এ উপলক্ষ্যে শনিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জেলা পুলিশ লাইন্সে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।
সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার মো: সাইফুর রহমান, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সংস্থার প্রধান, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এদিকে শনিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাদী, প্রফেসর (অব.) ড. মু. শামসুল আলম, বীর প্রতীক বক্তব্য দেন।
শনিবার সুবিধামতো সময়ে, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধাশ্রম, ছোট মনিনিবাস; অন্ধ, মূক ও বধির বিদ্যালয়, সেফ হোম, এসওএস, শিশুপল্লি, শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও বেসরকারি এতিম খানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করেন।
শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ জোহর মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং সুবিধামতো সময়ে অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। দিনটি লক্ষ্য রেখে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির রাজশাহী কার্যালয় চিত্রাঙ্কন, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নগর আ’লীগ: কর্মসূচী সমূহের মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও দেশাত্মবোধক গান প্রচার করা হয়।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এঁর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু এঁর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, নগর শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, জেলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দিক, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম।
কর্মসূচী সমূহে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, সদস্য মুশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, এ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, এ্যাড. শামীমা আখতারী, বাদশা শেখ, মোখলেশুর রহমান কচি, কে এম জুয়েল জামান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সদস্য ডা: আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর শ্রমিক লীগ মাহাবুবুল আলম, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দুল্লাহ খান, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ প্রমুখ।
রাসিক: সিএন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ। এরপর কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরআগে নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি সিএন্ডবি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
দিবসটি উদ্যপনে গঠিত কমিটির আহবায়ক ও রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযীমের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডাঃ আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।
কর্মসূচিতে কমিটির সদস্য সচিব ও রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, প্যানেল মেয়র-৩ ও ১নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর তাহেরা খাতুন মিলি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, কমিটির সদস্য ও ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, কমিটির সদস্য ও ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, কমিটির সদস্য ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ৯নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ফেরদৌসী, ১০নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সুলতানা রাজিয়া, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানে আলম খান, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস আলী সরদার, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু বাক্কার কিনু, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলিফ-আল-মাহামুদ লুকেন, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান (বাচ্চু), ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহের হোসেন, ৩০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাউদ্দিন, ২নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিউলি, ৩নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সেবুন নেসা, ৪নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আলফাতুন নেছা, ৬নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মমতাজ মহল, ৮নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নাদিরা বেগম, রাসিকের সচিব মোঃ মোবারক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নুর-ই-সাঈদ, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, রাসিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ ও সাধারণ সম্পাদক আজমির আহাম্মেদ মামুন, সকল বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া পরিচালনা করেন নগর ভবন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মোঃ আবুল খায়ের।
রাবি: সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার শহীদ মিনারে ও সকাল সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম, অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ, ইনস্টিটিউট পরিচালক ও বিশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
বেলা ৩টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় স্মৃতিচারণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান এবং আলোচনা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানান ও সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট উপহার দেন। আলোচনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিক।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শামসুল আলম বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। রেজিস্ট্রার প্রফেসর আবদুস সালাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। উপাচার্য এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও উপাচার্য পত্নী অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমিন পুরস্কার প্রদান করেন। একই সময়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাবি ইউনিট কমান্ড, রাবি অফিসার সমিতি এবং সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতি ও সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন কর্তৃক নিজ নিজ উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে শেখ কামাল স্টেডিয়ামে শিক্ষক, অফিসার, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের প্রীতি ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচ, প্রীতি ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষাবোর্ড: শিক্ষাবোর্ড কলেজ পরিদর্শক এনামুল হকের সভাপতিত্বে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব হুমায়ূন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আরিফুল ইসলাম, বিদ্যালয় পরিদর্শক মহা. জিয়াউল হক, উপ-পরিচালক(হিসাব ও নিরীক্ষা) বাদশা হোসেন, সিনিয়র সিস্টেম এনালিষ্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ডে কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোহা. হুমায়ন কবীর।
সভায় বক্তব্য দেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক আবু দারদা খান, সিনিয়র সিস্টেম এনালিষ্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বিদ্যালয় পরিদর্শক মহা. জিয়াউল হক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আরিফুল ইসলাম, সচিব হুমায়ূন কবীর, কলেজ পরিদর্শক এনামুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রধান মূল্যায়ন অফিসার (চলতি দায়িত্ব) এস.এম. গোলাম আজম। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন শিক্ষা বোর্ড জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হাশেম মো: রহমাতুল্লাহ।
রাকাব: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর ব্যব¯’াপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কর্পোরেট শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মোখলেসুর রহমান সহ শাখার অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, রাজশাহীতে উপব্যব¯’াপনা পরিচালক আব্দুর রহিম রাজশাহী জেলা প্রশাসন চত্বরের স্মৃতিস্তম্ভে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
এ সময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাকাব পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত পরিচালক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ, প্রধান কার্যালয়ের নিরীক্ষা, হিসাব ও আদায় মহাবিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা নাসরীন, প্রশাসন মহাবিভাগের মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) শওকত শহীদুল ইসলাম, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রজেক্ট ডাইরেক্টর, এসইসিপি, রাজশাহী জোনাল ব্যবস্থাপক, রাজশাহী, সহকারী মহাব্যবস্থাপক, স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়, রাজশাহী, রাকাব কর্মচারী সংসদ (রাজ-৬১১), রাকাব অফিসার্স এসোসিয়েশন, রাকাব অফিসার্স ফোরাম ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ প্রধান কার্যালয়, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহী, বিভাগীয় নিরীক্ষা কার্যালয়, রাজশাহী এসইসিপি, রাজশাহী এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
রুয়েট: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) শনিবার দিনব্যাপী নানান কর্মসূচি আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকালে রুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
রুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী সমিতি, বিভিন্ন হলসমূহ, ছাত্রলীগ রুয়েট শাখা সহ অন্যান্যরা পৃথক পৃথক ভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এর পরপরই উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ক্যাম্পাসে অবস্থিত শহীদ ছাত্রদের কবর জিয়ারত করেন।
এরপর শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছেলে মেয়েদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতা ও স্মার্ট ভিলেজ শীর্ষক প্রজেক্ট শোকেসিং প্রতিযোগিতা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ইভেন্টের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কমপ্লেক্সে চক্ষু, দন্ত এবং ফিজিওথেরাপী ইউনিটের কার্যক্রম এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য।
দুপুরে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আওয়ালের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান রিপন, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান, ফলিত বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আব্বাস আলী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরিফ আহম্মেদ চৌধুরী, কর্মকর্তা সমিতির সহ-সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুন্না। আলোচনা সভা শেষে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এদিন বাদ যোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বিএমডিএ: যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় রাজশাহী বরেন্দ্র ভবনে ও সকল জোন ও রিজিওন অফিসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় দিবসটি।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও রাজশাহী নগরীর কোর্ট এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি স্তম্ভে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদের নেতৃত্বে সকালে পুষ্পস্ববক অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়।
পরে বিএমডিএ সম্মেলন মহান বিজয় দিবস-২০২৩ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স¥রনে এক মিনিট নিরবতা পালন ও রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম তুলে ধরা হয়ও বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহান বিজয় দিবস-২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব আব্দুর রশীদ।
মহান বিজয় দিবসএ আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বিএমডিএ নির্বাহী প্রকৌশলী ও সাধারণ সম্পাদক আইইবি রাজশাহী নাজমুল হুদা। মহান বিজয় দিবস-২৩ আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) অতি: প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদা, অতি: প্রধান প্রকৌশলী ড.আবুল কাশেম, অতি:প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবির আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সমসের আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জিন্নুরুইন খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ.টি.এম মাহফুজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী ও কাউন্সিল মেম্বার আইইবি শরিফুল ইসলাম, রাহাত পারভেজ সাধারণ সম্পাদক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন, বিএমডিএ শাখা, বিএমডিএ কর্মচারী ইউনিয়ন রাজ-১৫০০ এর সাধারণ সম্পাদক জীবন, রাজ৩০৪২ সিবিএ সভাপতি মেসবাউল হক সহ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-ব্যব¯’াপক (কৃষি), মনিটরিং অফিসার ও সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দসহ সকলে উপ¯ি’ত ছিলেন।
রামেক হাসপাতাল: রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুসহ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। একই সাথে এক মিনিট নিরবতা পালন ও শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ, উপ-পরিচালক ডা. হাসানুল হাসিব, সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডাক্তার মোঃ আবু তালেব, সাবেক আরপি ডাক্তার পার্থ মনি ভট্টাচার্য, অর্থপেডিক সার্জারির আরএস ডা. এমএস রয়, রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের ইনচার্জ এসএম মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারি সমিতি, আঞ্চলিক ইউনিটের সভাপতি মোজাহার আলী, সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি খাজা মইন উদ্দিন, নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট সুফিয়া খাতুনসহ রামেক হাপাতালের কর্মচারী- কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিসিবিভিও: রাজাবাড়ীহাট উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মিনার ও কাকনহাট পৌরসভা শহীদ মিনার প্রাঙ্গন অভিমুখী র‌্যালীর মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের কার্যক্রম শুরু হয়। র‌্যালী শেষে রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ ও সিসিবিভিও কর্মীবৃন্দ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের আত্মত্যাগের মহিমাকে স্মরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন এবং শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মহান বিজয় দিবস উদযাপন কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সরল এক্কা, উর্দ্ধতন হিসাবরক্ষক এ.এইচ.এম তারিক, সমন্বয়কারী আরিফ ইথার, উর্দ্ধতন মাঠ কর্মকর্তাও সিসিবিভিও শাখা কার্যালয়ের ইনচার্জ নিরাবুল ইসলাম, পরিবীক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি কর্মকর্তা মোঃ শাহাবুদ্দিন, রাজাবাড়ীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান, রাজাবাড়ীহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাফরুদ্দিন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান পরিষদের গোদাগাড়ী শাখার সভাপতি কৃষ্ণ কুমার সরকার, রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির নেতা প্রসেন এক্কা ও অজয় মিঞ্জ।
বরেন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়: বাসযোগে একটি বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। পরে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহার নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হতে যাত্রা শুরু করে ক্যাম্পাসের অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল মিফতার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা। প্রধান অতিথি ও আলোচক হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চৌধুরী জুলফিকার মতিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান। অনুষ্ঠানে জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের কো-অর্ডিনেটর শাতিল সিরাজ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. হাবিবুল্লাহ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, কো-অর্ডিনেটরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি: সকাল ৯টায় ভুবন মোহন পার্ক শহীদ মিনারে পুস্পস্তক অর্পন করা হয় এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ত্রিশ লক্ষ শহীদের শ্রদ্ধায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, মহানগর নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি কবি আলমগীর মালেক, সাবেক উপাধাক্ষ রইস উদ্দীন, কল্পনা রায়, অঞ্জনা সরকার, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তামিম শিরাজী, জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোসনা আরা, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ আলী পলাশ, রনি সরকার, মহানগরের দপ্তর সম্পাদক ওয়ালিউর শেখ,নগর নির্মূল কমিটির সদস্য ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষচন্দ্র হেমব্রম, রাজশাহী বারের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অতিরিক্ত পিপি শিরাজী শওকত সালেহীন এলেন, নগর নির্মূল কমিটির সদস্য এডিশনাল জিপি এডভোকেট শামীম আক্তার হৃদয়, যুব ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ, মহিলা ইউনিটের সভাপতি হালিমা কুমকুম,স্টুডেন্ট ফ্রন্ট্রের সভাপতি ইখতিয়ার প্রামাণিক, সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
রাজশাহী কলেজ: সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কলেজ প্রশাসন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক এবং উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ ওলিউর রহমানসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ হাসান সিরাজী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মতিন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন।
পবা উপজেলা: এদিন প্রত্যূষে উপজেলা প্রশাসনের ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়াও এদিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নওহাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো ইয়াসিন আলী প্রধান অতিথি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত এর সভাপতিত্বে এসব অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন নওহাটা পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান হাফিজ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরজিয়া বেগম ও ওয়াজেদ আলী খাঁন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অভিজিত সরকার, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নওহাটা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান হাফিজ, পবা থানা অফিসার ইনচার্জ সরোওয়ার্দী।
উপস্থিত ছিলেন নওহাটা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর আলী, নওহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুদ্দীন প্রামানিক, নওহাটা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, নওহাটা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ, বায়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আফসার আলীসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
জেলা কৃষক লীগ: রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মো: তাজবুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও পবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: ওয়াজেদ আলী খাঁন, সহ-সভাপতি এন্তাজ আলী, আবুল হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস খান, আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল হাসান বাচ্চু, শফিউল করিম ইমন মন্ডল ও আসাদুল হক দুখু, দপ্তর সম্পাদক আসমান আলী স্বপন, আইন বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মোস্তফা, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আলী চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান স্বাধীন, মাসুম আলম, খোকুনুজ্জামান মাসুদ সহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।
ডাঙ্গেরহাট মহিলা কলেজ: ডাঙ্গের হাট মহিলা কলেজে মিলনায়তনে কলেজের অধ্যক্ষ আসলাম আলি এর সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন অত্র কলেজের সভাপতি হবিবুর রহমান, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল হালিম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক আজিজা গুলসান, আলিফ-লাম-মীম ইয়াসমিন, রাসেদা খাতুন, সুরাইয়া পারভিন, রিমা খাতুন, শিরিনা খাতুন, শফিউদ্দিন মন্ডল, আসাদুজ্জামান খান, মামুনুর রহমান খান, রুহুল আমিন, খালিদ হাসান, জাহিরুল ইসলাম, দুলাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, রোমিও, দেলোয়ার হোসেন, হাসিবুল ইসলাম, মাসুম আলী, জাহাঙ্গীর আলম, মহিনুর খাতুন সহ -শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও কবিকুঞ্জ: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও কবিকুঞ্জের আয়োজনে নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যেছিল শহীদের স্মরণে শহীদ মিনারে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, দেশাত্মবোধক গান, সরচিত্ব কবিতা পাঠ ও বিজয়ের পদাবলী।
এদিন সন্ধ্যায় আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি প্রফেসর নূরুল আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর হক কুমার। অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামিলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, প্রফেসর গোলাম কবীর, প্রফেসর ড. সাইফুদ্দীন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন কবি আলমগীর মালেক, কবি ওয়ালী উল ইসলাম, কবি সিরাজুদ্দৌলার বাহার, যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ প্রামানিক সুমন, প্রচার সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম তোতা, কবি মনিরুল ইসলাম, কবি সুমন শামস্ সহ অন্যান্য অতিথি শুভাকাঙ্ক্ষীগণ
ইউসেপ রাজশাহী অঞ্চল: বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউসেপ বাংলাদেশ রাজশাহী রিজিওনের ইনক্লুসিভ কমিউনিটি নেটওয়ার্ক কমিটির চেয়ারপারসন ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান। অতিথি ছিলেন রাজশাহী রিজিওনের উপদেষ্ঠা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ড. মো. শাহীদুর রহমান চৌধুরী এবং সেলাই-রাজশাহীর সিইও এবং ইউসেপ বাংলাদেশ রাজশাহী রিজিওনের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কমিটির ভাইস-চেয়ারপারসন জামিলা আফসারি আলম (প্রীতি) এবং ইউসেপ রাজশাহী রিজিওনের রিজিওনাল ম্যানেজার শাহিনুল ইসলামসহ ডিসেন্ট এমপ্লয়মেন্টের টিম লিডার খন্দকার ফরিদ আহমেদ, ফাইন্যান্স এন্ড একাউন্টস বিভাগের সিনিয়র অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, সোশ্যাল ইনক্লুসিন বিভাগের টিম লিডার হারুন-অর-রশিদ, অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউসেপ রাজশাহী টেকনিক্যাল স্কুলের সম্মানিত হেড অব টেকনিক্যার তনিমা হক।
এনবিআইইউ: দিবসটি উপলক্ষে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এনবিআইইউ) শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, উপাচার্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র দাস। এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ক্যাম্পাসের টিএসসি চত্বরে আলোচনা সভা ও শিক্ষক ক্যারাম প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান নারীনেত্রী ও সাহিত্যিক অধ্যাপিকা রাশেদা খালেক। বিশেষ অতিথিা বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি ট্রেজারার প্রফেসর আনসার উদ্দিন, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মকসুদুর রহমান, কলা ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. আব্দুর রঊফ। শিক্ষক হাসান ঈমাম সুইট ও ড. আব্দুল কুদ্দুসের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বিজয় দিবস শিক্ষক ক্যারাম প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বড়াইগ্রাম: নাটোরের বড়াইগ্রামে ইউএনও আবু রাসেলের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপজেরা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মেয়র কেএম জাকির হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু, ওসি শফিউল আযম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মিজানুর রহমান মিজান।
বাগমারা: মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। পরে পর্যায়ক্রমে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, বাগমারা থানা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, উপজেলা আওয়ামী লীগ, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বেলা যতো বাড়তে থাকে মানুষের চাপ ততোই বাড়তে থাকে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
ভোলাহাট: এদিন পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ইউএনও রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন ও ওসি সুমন কুমার। পরে তিনি সম্মিলিত কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও দিনভর নানা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে, খেলাধুলা, বিজয় শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, শিশুদের বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। এছাড়াও পৃথক ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
রাণীনগর: আলোচনা সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাফিজুর রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এ্যাড. ইসমাইল হোসেন,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম কচি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিয়ামতপুর: নিয়ামতপুর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ও নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন, উপজেলা প্রেস ক্লাব, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও তিয়ানসি প্রি-ক্যাডেট একাডেমীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ প্রধান অতিথি হিসাবে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন, বিজয় দিবসের কর্মসূচী পায়রা অবমুক্ত করার মধ্য দিয়ে সূচনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ ও ওসি (তদন্ত) কওছার।
বাঘা: বাঘা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ লায়েব উদ্দিন লাভলু, এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবাগত নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম ও বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম। এরপর উন্মুক্ত আকাশে রঙিন বেলুন ওড়ানো হয়। এতে শরিক হন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ জুয়েল আহাম্মেদ, বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলী, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যানগণ। এর আগে শহীদদের জন্য এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ভিডিপি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে।
দুর্গাপুর: বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফারজানা ইয়াসমিন, পৌরসভার মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৃষ্ণ চন্দ্র, দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল ইসলাম। এছাড়াও সরকারি, আধা-সরকারী দপ্তরের দপ্তর প্রধান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মহাদেবপুর: উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ ও মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল অভিবাদন মঞ্চে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন। উপজেলা লেডিস ক্লাবের উদ্যোগে সকালে উপজেলা কমপ্লেক্সের টেনিস গ্রাউন্ডে মহিলাদের বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিফাত আরা এটি পরিচালনা করেন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া রহমান পলি, সোনালী ব্যাংক মহাদেবপুর শাখার ম্যানেজারের স্ত্রী প্রধান শিক্ষিকা নাজনীন নাহার লায়লা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার স্ত্রী, সমাজসেবা কর্মকর্তার স্ত্রী প্রমুখ খেলায় অংশ নেন।
গোমস্তাপুর: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের রহনপুর এবি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম অনন্যা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা, রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি)জান্নাতুল ফেরদৌস, গোমস্তাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল হাসান, গোমস্তাপুর থানার ওসি চৌধুরী যোবায়ের আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নুহু, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।
বদলগাছী: এদিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল, উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল আলম খাঁন, বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুর রহমান, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জবির উদ্দিনসহ উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী। এ সময় বিভিন্ন স্কুল উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
গোদাগাড়ী: রাজশাহীর গোদাগাড়ীর গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে প্রধান অতিথি থেকে আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার বাঙালী জাতির সূর্যসন্তান। তাদের অবদান আমাদের ভূলবার নয়। তাদের বীরত্ব ও সংগ্রামের ফলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়ে আজ ভালো ও সুখে আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। জাতির পিতা শেখ মুজিব আমাদের সংগ্রাম করা শিখিয়েছেন। আগামী দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় করেন। এছাড়াও জাতীর শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন উপাসানালয়ে মোনাতাজ ও প্রার্থনা করা হয় বিকেলে প্রতি ফুটবল খেলা, পুরস্তার বিতরণ ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
আরসিআরইউ’র: বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির (আরসিআরইউ) নেতৃবৃন্দ। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকাল বেলা সাড়ে ৯ টায় আরসিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম ও সহ-সভাপতি আবু সাইদ রনি নেতৃত্বে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. আব্দুল খালেক পৃষ্ঠপোষক ও কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. ওলিউর রহমান, সংগঠনের উপদেষ্টা দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যপক সৈয়দ আলী আহসান, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সেহের আলী দুর্জয়, দপ্তর সম্পাদক সুজন হোসেন, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা আফসানা মিমি, সদস্য আল সাকিব,আব্দুল আলিমসহ সহযোগী সদস্যবৃন্দ।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩ | সময়: ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ