সাঁকোয়া বধ্যভূমিতে শহিদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবী

রাসেল সরকার, মোহনপুর: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সাঁকোয়া বধ্যভূমি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাঁকোয়া বধ্যভূমিতে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা এ দাবি করেন।
সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা। কেশরহাট পৌরসভা, সাঁকোয়া মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
মোহনপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এখানে বহু মানুষকে জবাই করে পুতে রাখা হয়েছে। একারণে জায়গাটিতে একটি শহিদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা জুরুরি। এসময় যাদের হত্যা করে পুতে রাখা হয়েছে তাদের নামের তালিকা প্রনয়ণের দাবি জানান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর মুর্শেদ রঞ্জু বলেন, এই জায়গাটির পাশের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প ছিল এখান থেকেই তারা সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। অথচ এই জায়গাটিতে একটি নাম ফলক ছিলো সেটি দুষ্কৃতিকারিরা নষ্ট করে ফেলেছে।
তিনি আরো বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে জোর দাবি করছি, এখানে একটি শহিদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের। যেন আমরা এখানে এসে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে পারি।
শ্রদ্ধা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা বলেন, শহিদ স্মৃতিসৌধ না থাকলেও আমরা এখানে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। অত্যন্ত দুঃখজনক যে, এখানে বড় ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটয়ার পরও স্বাধীনতার ৫০ বছরে একটি বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়নি।
এসময় ছিলেন, মোহনপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মন্ডল, উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নিতাই চন্দ্র দাস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেহবুব হাসান রাসেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা রহমান রিক্তা, কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ, কেশরহাট ভূমি অফিসের কর্মকর্তা (নায়েব) ইকবাল কাশেম সুমন, সাঁকোয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক সহ মুক্তিযোদ্ধা ও সুধীজনরা।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩ | সময়: ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর