সব ধরনের ক্রিকেটে ৬ বছর নিষিদ্ধ স্যামুয়েলস

স্পোর্টস ডেস্ক: দুর্নীতি বিরোধী আইনের চারটি ধারা ভঙ্গ করে আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটার মারলন স্যামুয়েলস। সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে একটি স্বাধীন দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী হিসেবে পেয়েছে। যার শাস্তিটা অবশেষে ঘোষণা করেছে আইসিসি। তাকে সব ধরনের ক্রিকেটে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। স্যামুয়েলসের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে ১১ নভেম্বর ২০২৩ থেকে।
প্রথমে আইসিসি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। অভিযোগগুলো মূলত আবুধাবিতে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত টি-টেন লিগ সম্পর্কিত। যা আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন কর্নাটক টাস্কার্স দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টে খেলেননি যদিও।
স্যামুয়েলস চারটি ধারা ভঙ্গের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যার প্রথমটি হলো ক্রিকেট ও তাতে অংশগ্রহণকারীকে কলঙ্কিত করতে পারে এমন পরিস্থিতিতে কারও কাছ থেকে কোনও উপহার, আতিথেয়তা ও অন্য ধরনের সুবিধাগ্রহণের কথা দুর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তাকে না জানানো। দ্বিতীয়টি, ৭৫০ ডলার মূল্যের আতিথেয়তার কোনও কিছু গ্রহণ করে সেটি দুর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তার কাছে প্রকাশ না করা। তৃতীয়টি, তদন্তের সময় দুর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তাকে সহায়তা করতে ব্যর্থ হওয়া। চতুর্থটি হলো- তদন্তের জন্য সহায়ক হতে পারে এমন তথ্য গোপন করে দুর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তার তদন্তে বিলম্ব কিংবা বাধার সৃষ্টি করা।
সাফল্যের সঙ্গে বিতর্কে ভরা ছিল স্যামুয়েলসের পুরো ক্যারিয়ার। ২০২০ সালে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। তার আগে ৭১টি টেস্ট, ২০৭টি ওয়ানডে ও ৬৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ১৭ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ১১ হাজারের বেশি রান করেছেন। ভীষণ প্রতিভাবান হলেও সেটা ঠিকমতো সেটা ফুটিয়ে তুলতে পারেননি। তবে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সর্বোচ্চ অর্জনগুলো তাকে অমর করে রাখবে। বিশেষ করে ২০১২ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ স্কোর করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি। ১৫ বছর আগেও একই ধরনের অভিযোগে শাস্তি পেয়েছেন। দুর্নীতিতে জড়িয়ে ২০০৮ সালে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ওই সময়ও অর্থ কিংবা অন্য ধরনের সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।


প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৩ | সময়: ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ