এলাকার উন্নয়নে বাঘায় চার প্রতিষ্ঠানে জমিদান করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

নুরুজ্জামান,বাঘা :

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে নিজ এলাকায় নানা উন্নয়নের পাশা-পাশি দু’টি ইউনিয়ন পরিষদ ,একটি পৌরসভা এবং একটি শিশু হাসপাতাল নির্মানের জন্য নিজ অর্থায়নে জমি দান করেছেন বাঘা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসাবে দেখেছেন তাঁর নির্বাচনী এলাকা (চারঘাট-বাঘার )সর্বস্তরের মানুষ। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, পর-পর তিনবারের নির্বাচিত সংসদ ও দুই বারের সফল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী একজন উদার মনের মানুষ। তাঁকে পুন:রায় নির্বাচিত করলে এলাকার উন্নয়ন ধারা চলমান থাকবে।

 

স্থানীয় লোকজন জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক টানা ১৫ বছরে বাঘায় অভুত পূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এর মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন , পদ্মার চরাঞ্চল-সহ প্রত্যান্ত এলাকায় পাকা রাস্তা, দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি করণ ও অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান, ফায়ার স্টেশান স্থাপন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মান, ৩১ শয্যার হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় রুপান্তিরত করা, গ্রামীণ অবকাঠাম উন্নয়নের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধাব ভাতা এবং মাতৃত্বকালীন ভাতার সংখ্যা বাড়ানো সহ কৃষি খ্যাতে ঋণ সহায়তা দেয়ার কারনে বদলে গেছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-মান। আর এসব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে কেবল মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ আলহাজ শাহরিয়ার আলমের একান্ত প্রচেষ্টার কারনে।

 

 

এলাকার লোকজন জানান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিজ অর্থয়নে আড়ানী পৌর এলাকায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারী ‘মা ও শিশু হাসপাতাল’ নির্মাণের জন্য আড়ানী-রুস্তমপুর রোর্ডের পার্শ্বে ৫৮ শতাংশ জমি ৫০ লক্ষ টাকায় ব্যক্তিগত অর্থে ক্রয়পুর্বক দান অত:পর সরকারী অর্থায়নে ভবন নির্মানের পর উপজেলার গড়গড়ি এবং চকরাজাপুর উইনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের জন্য ১৫ কাঠা করে মোট ১ বিঘা জমি ৩০ লক্ষ টাকায় কিনে দান ও আড়ানী পৌর সভার জন্য এক বিঘা জমি ৩৫ লক্ষ টাকায় কিনে পৌর সভার নামে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন। লোকজন আরো জানান, মন্ত্রী তাঁর সম্মানী ভাতার সমুদ্বয় অর্থ মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করায় তিনি সকল রাজনৈতিক সংগঠন সহ এলাকার সুধীজন এবং সু-শীল সমাজের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, এতদিন ভবন নির্মাণের বরাদ্দ মিললেও জমির অভাবে হাসপাতাল সহ এই চারটি প্রতিষ্ঠান নির্মান করা সম্ভব হয়নি। মাত্র .৮ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত ভবনে চলছিল গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদের কাজকর্ম। অপর দিকে নতুন ভাবে গড়ে উঠা চকরাজাপুর ইউনিয়নটি অস্থায়ী জমির উপরে স্থাপন করা হলেও পরবর্তীতে জমির অভাবে স্থায়ী ভবন নির্মান করা যাচ্ছিল না। ঐ দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যথাক্রমে-রবিউল ইসলাম ও বাবলু দেওয়ান জানান, আমাদের ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে আবেদন দিয়েছি , বরাদ্দ পেলেই নতুন ভন নির্মান শুরু হবে। এর ফলে উপকৃত হবে অত্র এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারন।

গড়গড়ি ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাক্ষ আনিসুর রহমান বলেন, বিগত সময়ে অনেক সরকার এসছেন। তবে কোন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা গড়গড়ির ইউনিয়ন কমপ্লেক্স নিয়ে ভাবেননি। আর যিনি ভেবেছেন তিনি নিজ অর্থায়নে জমি কিনে দিয়েছেন। এ জন্য আমরা গড়গড়িবাসী তাঁর কাছে চির ঋনী ও কৃতজ্ঞ। তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাঁর ইউনিয়নে নৌকা প্রতিককে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।

বাঘা উপজেলা ও কেন্দ্রীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনজারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পুরণে আমাদের সংসদ উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দিয়েছেন একটি করে কম্পিউটার-সহ আইসিটি ল্যাব। ঘোষনা দিয়েছেন কেউ যদি তাঁর সন্তানকে পড়ালেখা করাতে ব্যর্থ হন তাহলে সেই শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নেবেন তিনি। একই সাথে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি ব্যয় করছেন জাতীয় সংসদ থেকে প্রাপ্ত সম্মানী ভাতার সমুদ্বয় অর্থ। এটি নি:সন্দেহে ইতিবাচক বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট-বাঘার সংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, দেশের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যজনক কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সরকারি অর্থের বাইরে নিজ থেকে কিছু উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি মাত্র। যাতে করে এ অঞ্চলের মানুষ সফল ভাবে জীবন যাপন ও চলার পথে নিজেদের গতিশীল করতে পারে। বলা বাহুল্য ,বিগত সময়ে এই আসন থেকে অনেকেই এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। তারা ওয়াদা করেছিলেন বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলকে পৃথক একটি ইউনিয়ন বানাবেন । কিন্তু কেউই সে ওয়াদা রক্ষা করেনন। এদিক থেকে আমি আমার ওয়াদা রক্ষা করেছি। এখন চর শুধু আলাদা এইটি ইউনিয়নই নয়, সেখানে পাকা রাস্তা সহ দুই বছর আগে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে।

 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তৃণমূল মানুষের চাহিদা বিবেচনা করে চারঘাট-বাঘায় গত ১৫ বছরে অসংখ্য উন্নয়ন করেছি। সেই সাথে জনগণকে কথা দিয়েছি, আমি নির্বাচিত হই-বা না হয় যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এ অঞ্চলের মানুষের পাশে থাকবো। তিনি বলেন,আগামী জাতীয় নির্বাচনে যদি আমরা পুন:রায় সরকার গঠন করতে পারি তবে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং উত্তরত্তর বৃদ্ধি পাবে ।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৩ | সময়: ৮:০১ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine