বাঘা পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ট্রেড লাইসেন্স না দেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহীর বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী ঠিকাদারী ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স প্রদান না করায় জেলা প্রশাসক-সহ তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ঠিকাদার। ঐ ঠিকাদারের নাম মাহামুদুল হক সৈকত। তার বাড়ি বাঘা পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মিলিকবাঘা গ্রামে।
সৈকত রাজশাহী জেলা প্রশাসক, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার, রাজশাহী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তিনি গত চারবছর ধরে বাঘা পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পথ্য সরবরাহ সহ নানা উন্নয়ন মূলক কাজ করে আসছেন।
ব্যবসা পরিচালনার নিয়ম অনুযায়ী তার নামিও ‘মেসার্স বর্ণা এন্টার প্রাইজ’ লাইসেন্স নতুন অর্থ বছরে (নতুন ভাবে) নেওয়ার জন্য গত ১০ জুলাই তিনি বাঘা পৌর কার্যালয়ে যান। এরপর মেয়র আক্কাছ আলীর কাছে গেলে লাইসেন্স দেয়া হবে না বলে ঠিকাদারকে ফিরিয়ে দেন।
এ সময় তিনি কারণ জানতে চাইলে, মেয়র কারণ জানাতে বাধ্য নয় বলে তাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এক পর্যায় সৈকত রুমের বাইরে চলে আসলে মেয়রের কর্মচারী কামরুজ্জামান ঐ আবেদনটি ছিড়ে ফেলেন।
সৈকত তার লিখিত আবেদনে আরো জানান, আমি এ ঘটনার পরদিন ১১ জুলাই পুনঃরায় নতুন একটি আবেদন নিয়ে মেয়র মহোদ্বয়ের কাছে যাই। উনি আমাকে দেবন না বলে আবারও ফিরিয়ে দেন।
সবশেষ গত ২৪ জুলাই আমি আরো একবার তাঁর কাছে যাই। এসময় তিনি আবেদন হাতে নিয়ে আমাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সাবেক মেয়র আব্দুর রাজ্জাকের স্বাক্ষর দেয়া ট্রেড লাইসেন্সে আমি স্বাক্ষর করবো না।
নিরুপায় হয়ে ঠিকাদার মাহামুদুল হক সৈকত রাজশাহী জেলা প্রশাসক, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার-রাজশাহী ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
সৈকত জানান, আমি একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। গত চার বছর থেকে সরকারকে আয়কর ভ্যাট এবং নিয়োমিত বাঘা পৌর সভায় কর প্রদান করে আসছি। মুলত রাজনৈতিক প্রতি হিসংসা পরায়ন হয়ে মেয়র আক্কাছ আলী আমাকে নতুন লাইসেন্স দিচ্ছেন না। ফলে আমি অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
এ বিষয় মেয়র আক্কাছ আলীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। মুল এ্যাড্রেস করা হয়েছে জেলা প্রশাসক মহাদ্বয়কে। তিনি নির্দেশনা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।