নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সহযোগী যুবকের ১০ বছরের আটকাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর: নাটোরের শিশু আদালতের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সোমবার দুপুরে ধর্ষণে সহযোগীতা করার দায়ে এক যুবককে দশ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন।
১০ বছর আগে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের সহযোগিতায় দন্ডিত তখনকার ওই কিশোর আজানুর রহমান বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। রায় ঘোষণার আগে তার আইনজীবী আদালতে আসামীর হাজিরা জমা দিলেও রায় ঘোষণার সময় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।
নাটোরের শিশু আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২ মে রাতে বড়াইগ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে আজানুর রহমানের সহযোগীতায় সোহেল রানা (২৪) নামের এক তরুণ ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানায় মামলা হলে উপ-পরিদর্শক শাহজাহান আলী তদন্ত করে সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ওই কিশোরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সোহেল রানার বিচার শুরু হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে। বিচারের এক পর্যায়ে একটি আদেশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিভিশন করে তার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
তবে শিশু আদালতের মামলায় অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ দেন।
শিশু আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান জানান, ২০১২ সালের ২ মে ঘটনার সময় আজকের দন্ডিত ব্যক্তির বয়স ছিল ১৫ বছর। এ কারণে তার বিচার শিশু আদালতে হয়েছে। তবে বর্তমানে তার বয়স ২৫ বছর হওয়ায় তাকে সংশোধনাগারে না পাঠিয়ে কারাগারে পাঠানোর রায় হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা দেয়া হয়েছে। সে গ্রেপ্তার হলে বা আত্মসমর্পণ করলে তাকে সাজাভোগ করার জন্য কারাগারে পাঠানো হবে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ | সময়: ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ