সংকটের অজুহাতে একশ টাকার স্যালইন দুশ টাকায় বিক্রি

মতলুব হোসেন, জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কোন ঔষধের দোকানে মিলছে না জীবন রক্ষাকারি স্যালাইন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও নেই কলেরা স্যালাইন ছাড়া অন্য সব স্যালাইন। প্রতিনিয়ত অন্যান্য রুগির সাথে বাড়ছে ডায়রিয়া, ডেঙ্গু সহ অন্যান্য রোগি। ৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি রুগির সংখ্যা প্রতিনিয়ত দিগুন। প্রয়োজনে ভর্তি রোগিদের কপালে জুটছে না ডায়রিয়া বা কলেরা ছাড়া অন্য স্যালাইন। বাজার থেকে ১’শ টাকার স্যালাইন ২’শ টাকায় কিনতে বাধ্য হচ্ছেন রুগিরা। এ অবস্থা শুরু হয়েছে কয়েকদিন ধরে।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসিফ আদনান জানিয়েছেন, কলেরার জন্য আইভি স্যালাইন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকলেও কলেরা রুগিদের সেবা দিতে অসুবিধা হচ্ছে না। কলেরা স্যালাইনের চাহিদা আমরা বাজার থেকে ক্রয় করে কিছুটা সমাধা করেছি। হাসপাতালে ভর্তি রোগিদের প্রয়োজনে অন্যান্য যেমন ডি এন এস ৫’শ ও ১০০০ মি.লি স্যালাইন নেই। রুগিদের বাইরের দোকান থেকে ক্রয় করতে হচ্ছে। তা ছাড়া হাপাতালটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও প্রতিদিন গড়ে একশ জনের মতো রুগি ভর্তি হন। রুগিদের জন্য বরাদ্ধ পাওয়া যায় ৫০ জন রুগির স্বাস্থ্য উপকরণ। এজন্য প্রাপ্ত বরাদ্ধ সর্বাজ্ঞে শেষ হয়ে যায়।
বিশেষ করে স্যালাইন সবার আগে শেষ হয়ে যায়। তিনি আরো জানান, গড়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন ডায়রিয়া রুগির সাথে অন্যান্য রুগি হাসপাতালে ভর্তি হন। কলেরা স্যালাইন শেষ হলেও স্থানীয় বাজার থেকে ক্রয় করে কিছুটা চাহিদা পুরন করে থাকলেও ৫% ডি এন এস আইভি ও নরমাল স্যালাইন আমাদের স্টকে নেই। সেজন্য ভর্তি রুগিদের মধ্যে যাদের ডি এন এস বা নরমাল আই ভি স্যালাইন প্রয়োজন তাদেরকে বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে।
এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এখানকার কতিপয় ঔষধ ব্যবসায়ী অধিক মুসাফার লোভে ডবল দামে স্যালাইন বিক্রী করছেন। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আসিফ আদনান আরো জানিয়েছেন, এবারের তীব্র দাবদাহ, গরমে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বেশি। তাছাড়া দুচারটে ডেঙ্গু রুগিও ভর্তি হচ্ছেন। এ জন্য আই ভি স্যালাইন এর সংকট দেখা দিয়েছে হাসপাতালে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালে ভর্তি একাধিক রুগির স্বজনরা অভিযোগ করে বলেছেন, ওইসব ঔষদধ দোকানীদের কাছে বিক্রীত স্যালাইনের মেমো চাহিলে তারা দিতে অপারগতাও প্রকাশ করেছেন। তারা সাফ বলে দিয়েছেন মেমো ছাড়া স্যালাইন নিলে নিবেন কোন মেমো দেয়া যাবে না। বাধ্য হয়ে তারা রুগি বাঁচাতে ডবল দামে বিনা মেমোতে স্যালাইন কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এব্যাপারে নবাগত উপজেলা নির্বহী অফিসার আরিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্রুততার সাথে অসৎ ঔষধ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ | সময়: ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ