মার্কশিটের জন্য বিদেশী শিক্ষার্থীর কাছে রাবি কর্মচারীর টাকা দাবির অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি: বিদেশী শিক্ষার্থীর হারিয়ে যাওয়া মার্কশীট তুলে দিতে দুই লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ২৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মুহম্মদ সেলিম আলী। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বারিন্দ মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ন ডাক্তার হিসেবে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্ত মো. শাহিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কশীট বিভাগের পিয়ন হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
উপ-উপাচার্য বরাবর দেওয়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী মার্কশীট, ডিগ্রি এবং ট্রান্সক্রিপ্ট সহ যাবতীয় কাগজপত্র এটেস্টেশনসহ তুলে দেবার জন্য শাহিন নামক ওই ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেন। তার ২০২১ সালের ফাইনাল প্রুফের মার্কশীট হারিয়ে যাওয়ায় অরিজনাল কপি পাওয়া যাবে কিনা জানতে চাইলে, সেটি দিতে পারবে বলে দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন শাহীন। এর প্রেক্ষিতে তিনি আশি হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
অভিযোগপত্রের বিষয়ে ভুক্তভোগী মুহম্মদ সেলিম আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগপত্র দিয়েছি। আমি কিছুদিন পর ভারতে চলে যাবো। এখন এবিষয়ে কিছু বলতে চাই না।
অভিযুক্ত কর্মচারী শাহীন বলেন, বিষয়টি মিথ্যা। আমি তার কাছ থেকে যেটা প্রয়োজন, সে অনুযায়ী ১ হাজার ৩০০ টাকা নিয়েছি মাত্র। ৮০ হাজার টাকার ব্যাপারে তো আমি কিছু জানিনা। আমি টাকা নেইনি।
এদিকে এ ঘটনায় রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসান আহমেদ কে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক হাসান আহমেদ বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে আপনারা জানতে পারবেন।
সার্বিক বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, ওই শিক্ষার্থী আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উপাচার্য স্যার দেশের বাইরে আছেন। ফিরলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বারিন্দ মেডিকেল কলেজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ায়, এখান থেকেই সার্টিফিকেট, মার্কসিটসহ অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হয় কলেজটির শিক্ষার্থীদের।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩ | সময়: ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ