বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও তার চেতনার মৃত্যু হয়নি : খাদ্যমন্ত্রী

নিয়ামতপুর প্রতিনিধি: ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যদের কাজ না, এ হত্যাকান্ড জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পরিকল্পিত হত্যা কান্ড। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি, যাতে বাঙ্গালী জাতি বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায় তারজন্য পদ্মার ওপারে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুকে দাফন করা হয়। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে, আজ বঙ্গবন্ধু শুধু টুঙ্গিপাড়ায় না, সারা বিশে^র জনপ্রিয় নেতা হিসাবে স্বীকৃত।
জিয়াউর রহমানরা চেয়েছিল টুঙ্গিপাড়ায় কেউ যেতে পারবে না, বঙ্গবন্ধুর কবর কেউ দেখতে পারবে না, আস্তে আস্তে সবাই বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যাবে। কিন্ত তারই কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা নদীর উপর পদ্মা সেতু করে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার রাস্তা সহজ করে দিয়েছেন।
২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা ৫টায় বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সাদাপুর খড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোক সভা ও যৌথ বর্ধিত সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা কারো উপর আঘাত করবো না, কিন্তু কেউ যদি আমাদের উপর আঘাত করে, বঙ্গবন্ধু কিংবা শেখ হাসিনার নামে মিথ্যে বদনাম ছড়ায় তাহলে প্রথমে তাদের বুঝাবো, তাতে কাজ না হলে তাদের প্রতিরোধ করবো, তাতেও কাজ না হলে প্রতিশোধ নিবো। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক আমরা প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জানি। ২০১৪ সালের আওয়ামীলীগ আর ২০২৩ সালের আওয়ামীলীগ এক না। এখান আওয়ামী লীগ অনেক বেশী ঐক্যবন্ধ এবং শক্তিশালী।
বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু ঈশ^র চন্দ্র বর্মন, বাহাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র প্রামানিক।
সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাইদুল ইসলাম, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক।


প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৩ | সময়: ৫:০০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর