নাটোরে কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষন যুবকের ফাঁসি, দুলা ভাইয়ের আমৃত্যু কারাদন্ড

নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোওে স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলার রায়ে সুমন আলীনামে এক যুবকের ফাঁসিও তার দুলা ভাইয়ের আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুওে নাটোরের নারীও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। আদেশে শ্যালক সুমন আলী(২৬) দোষী প্রমাণীত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদন্ড ও ৩০হাজার টাকা জরিমানা এবং তার দুলা ভাই রফিকুল ইসলাম(৪৩) কে আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড ও ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

 

 

 

জরিমানার টাকা অপহৃতা কিশোরীকে প্রদান করতে বলা হয়েছে। মামলার অভিযুক্ত অপর চারজনের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদেও খালাস দিয়েছেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত সুমন আলী জেলার লালপুর উপজেলার পোকন্দা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। তার দুলা ভাই রফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলার তারাশ উপজেলার ধান কুন্টি গ্রামের আফসার আলীর ছেলে। আদালত সূত্রে জানাযায়, জেলার লালপুর উপজেলার পোকন্দা গ্রামের বেলাল শিকদারের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়ে (১৫) কে ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে একটি সাদা মাইক্রো বাসে অপহরণ কওে সিরাজগঞ্জে নিয়ে যায়। এ সময় অপহরণ কারীরা বাড়ি থেকে বেশ কিছু নগদ টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে যায়। অনেক দেন দরবার করার পরেও মেয়ে এবং টাকাগহনা ফেরতনা দেওয়ায় বেলাল শিকদার লালপুর থানায় দন্ডপ্রাপ্ত দুইজনহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো দুই/তিনজনের নামে অপহরণ মামলা দায়েরক রেন।

 

 

 

 

 

পরে পুলিশ স্কুল পড়ুয়া অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে তাকে নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। মামলার ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রোববার নাটোরের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুররহিম এই রায় দেন। রায়ের সময় মামলার ৬ আসমী আদালতে উপ ছিলেন। মামলার বাদী বেলাল শিকদার রায়ে সন্তোস প্রকাশ করেছেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম নোমান বলেছেন, দন্ড প্রাপ্তরা রায়ে সন্তষ্ট নয়, তাই তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

সানশাইন/সোহরাব

 


প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৩ | সময়: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine