সর্বশেষ সংবাদ :

প্রেমের বিয়ে মানছে না কনের বাবা, হয়রানি করার অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি: কলেজে লেখাপড়া করার সুবাদে প্রায় ৭ বছর পূর্বে মানিক চন্দ্র প্রামানিক ও কথা বসাকের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে নিজ নিজ ইচ্ছায় ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি তারা হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন করেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।
কিন্তু মেয়ের পরিবার প্রভাবশালী হওযায় প্রেমের বিয়ে মেনে না নিয়ে বিভিন্নভাবে করা হচ্ছে হয়রানি। এরই প্রতিবাদে মেয়ে কথা বসাক পরিবারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
রবিবার দুপুরে নওগাঁর মান্দা উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
ভুক্তভোগী মানিক চন্দ্র প্রামানিক (৩১) মান্দা উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক অনিল চন্দ্র প্রামানিকের ছেলে। কথা বসাক (২১) নওগাঁ সদর উপজেলার পার-নওগাঁর বাসিন্দা কল্যাণ কুমার বসাকের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বসাক বলেন, আমার বাবা প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। কিন্তু আমার স্বামীর পরিবার আর্থিক অবস্থা একটু খারাপ হওযায় বিষয়টি আমার বাবা-মা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাদের দুজনকে ফাসাঁনোসহ খুন-জখমের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এমনকি আমার স্বামী মানিক চন্দ্র প্রামানিকের বাড়িতে আমাকে ধরার জন্য তল্লাশি চালিয়েছে আমার পরিবারের লোকজন। শুধু তাই নয়, আমাকে নিখোঁজ দেখিয়ে থানায় একটি অভিযাগে দায়ের করে আমার স্বামী ও পরিবারের লোকজনকে হয়রানি করানো হচ্ছে। আমার পরিবারের ভয়ে বাড়িতে ঠিকমত থাকতে পারি না। আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
যেহেতু তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে নিজ নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন তাই তারা যেন সুন্দর ও সুস্থভাবে সংসার করতে পারে এজন্য প্রশাসনের কাছে সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কথা বসাক ও মানিক চন্দ্র প্রামানিক।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী দম্পতি মানিক চন্দ্র প্রামানিক এবং কথা বসাকসহ ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বসাকের কাকি সোনা বসাকের সাথে মোবাইলে কথা হলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে, সাংবাদিকের সাথে তাদের কোন কাজ নেই বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েকজন থানায় এসে মৌখিকভাবে বলেছেন মেয়ের পরিবারের লোকজন এসে তাদের হয়রানি করছেন। তবে তাদের বলেছিলাম পরবর্তীতে মেয়ের পরিবারের কেউ আসলে থানায় খবর দিতে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা আর কোন যোগাযোগ করেননি।


প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৩ | সময়: ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ