হাঁসের হ্যাচারীতে স্বাবলম্বী মসলেম

তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মহেশরৌহালী গ্রামের মসলেম উদ্দিন হাঁসের হ্যাচারী করে অল্পদিনেই সফলতার মুখ দেখা শুরু করেছেন। বর্তমানে এই হাঁসের হ্যাচারী থেকে প্রতি মাসে আয় করছেন লক্ষাধিক টাকা। তার এই উদ্যোগের অনুপ্রাণিত করেছেন স্থানীয় সাহ্ আলম ফকির।
জানা যায়, ৭ বছর আগে নিজের গ্রামে হাঁসের হ্যাচারী করেন তিনি। এরপর মাত্র ৫ শত হাঁসের ডিম দিয়ে ছোট পরিসরে গড়ে তোলেন এই হ্যাচারী। পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে গড়ে তোলেন তিনি হাঁসের হ্যাচারী। তার এই হ্যাচারীর এখন কাজের সুযোগ করে দিয়েছে এলাকার কিছু বেকার যুবকদেরও।
মসলেম উদ্দিন বলেন, মাত্র ৫০০ ডিম দিয়ে শুরু করেছিলাম হাঁসের হ্যাচারী এখন প্রতিমাসে আমার হ্যাচারীতে ১ লক্ষ থেকে দের লক্ষ হাঁসের ডিম হ্যাচারিতে বসাই। প্রতিদিন হাঁসের বাচ্চা বিক্রি করে আয় করি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিদিন হাঁসের বাচ্চা আমাদের গ্রামে বিক্রি হচ্ছে ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন পাইকাররা এসে হ্যাচারী থেকে বাচ্চা কিনে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, হাঁসের হ্যাচারীর ঝুঁকি ও ঝাঁমেলা অনেক কম, লাভও বেশি। বাজারে হাঁসের মাংস ও ডিমের অনেক চাহিদা রয়েছে। খামারের পাশে পুকুর ও বিল থাকায় হাঁসের খাবারের পরিমাণও কম লাগে।
দিনের অধিকাংশ সময় হাঁসের বাচ্চা ও হাঁসগুলো পুকুর ও বিলে থাকে। সেখানে শামুক, পোকামাকড় খেয়ে হাঁসের খাবারের চাহিদা পুরণ হচ্ছে। নিয়মিত পরিচর্যা করলে হাঁসের তেমন রোগবালাইও দেখা যায় না। এই জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা এসে আমার হ্যাচারী থেকে বাচ্চা কিনে নিয়ে যায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, মসলেমের উদ্দিনের হাঁসে বাচ্চার হ্যাচারী আমরা পরিদর্শন করেছি। তিনি একজন সফল হ্যাচারীর মালিক। তাকে দেখে অনেকে হাঁসের হ্যাচারী করেতে উৎসাহ দেখাচ্ছেন।


প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৩ | সময়: ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ