সর্বশেষ সংবাদ :

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইমার্জিং এশিয়া কাপে রানার্সআপ বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক: লক্ষ্য তেমন বড় ছিল না। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কোনো সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারল না বাংলাদেশ ‘এ’ দল। একশর আগেই গুটিয়ে গিয়ে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদের।
হংকংয়ের মিশন রোড গ্রাউন্ডে নারী ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ফাইনালে ৩১ রানের জয়ে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত ‘এ’ দল। ১২৮ রানের লক্ষ্যে ৪ বল বাকি থাকতে ৯৬ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ইমার্জিং দল হলেও বাংলাদেশের স্কোয়াডে ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক ঝাঁক ক্রিকেটার। ফাইনালের একাদশে ওপেনার সাথি রানি ছাড়া বাকি সবাই খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে।
কিন্তু টুর্নামেন্টজুড়ে সেই অভিজ্ঞতার কোনো ছাপ দেখা যায়নি তাদের ব্যাটিংয়ে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মুর্শিদা খাতুনের ফিফটি ছাড়া টপ-অর্ডারের কেউই তেমন রান পাননি। অথচ ভারতীয় দল সাজানো হয়েছে মূলত সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভালো করা ক্রিকেটারদের নিয়ে। এমনকি বর্তমান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারও রয়েছে তাদের দলে। অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপুটে ক্রিকেট খেলেই শিরোপা জিতল তারা।
ফাইনালে ব্যাট হাতে ২৩ বলে অপরাজিত ৩০ রান ও বোলিংয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন কনিকা আহুজা। এছাড়া ৪টি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দেন শ্রেয়াঙ্কা পাতিল। টুর্নামেন্টে স্রেফ দুইটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে ভারত, বৃষ্টিতে তাদের বাকি ম্যাচগুলো পরিত্যক্ত। হংকংয়ের বিপক্ষে ২ রানে ৫ উইকেট নেন শ্রেয়াঙ্কা। দুই ম্যাচে ৭ ওভারে স্রেফ ১৫ রানে ৯ উইকেট পাওয়া ২০ বছর বয়সী এই অফ স্পিনারই পেয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি।
রান তাড়ায় শুরুতে জীবন পান বাংলাদেশের ওপেনার সাথি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ২ চারে ১১ বলে ১৩ রান করে ফেরেন ড্রেসিং রুমে। আরেক ওপেনার দিলারা আক্তার করেন ৭ বলে ৫। অধিনায়ক লতা মণ্ডল হতাশ করেন আরও একবার। তিন নম্বরে সোবহানা মোস্তারি ভালো শুরু পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। কনিকার বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে করেন ২২ বলে ১৬ রান।
টপ-অর্ডারের ব্যর্থতার পর মিডল-অর্ডারের ব্যাটাররাও পারেননি ভালো কিছু করতে। আগের ম্যাচের জয়ের কারিগর নাহিদা আক্তার অপরাজিত থাকেন ১৭ রান করে। এছাড়া ১৬ রান আসে অতিরিক্ত থেকে।
প্রথম ভাগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতকে আঁটসাঁট বোলিংয়ে শুরুতে আটকে রাখেন মারুফা আক্তার, সানজিদা আক্তার, নাহিদারা। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে তারা করে ২৮ রান।
অধিনায়ক শ্বেতা সেহরাওয়াত ১৩ রান করতে খেলেন ২০ বল। আরেক ওপেনার উমা ছেত্রি করেন ২০ বলে ২২ রান। তিন নম্বরে নামা দিনেশ ভ্রিন্দা রানের গতি কিছুটা বাড়ান। ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৯ বলে ৩৬ রান। পরে কনিকার ব্যাটে ভর করে একশ ছাড়িয়ে লড়াই করার পুঁজি পায় ভারত। কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে স্রেফ ১৩ রানে ২ উইকেট নেন নাহিদা। লেগ স্পিনার রাবেয়া খান ১৪ রানে ধরেন ১ শিকার।


প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ | সময়: ৪:০১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ