কেশরহাট বিদ্যালয়ে তিনপদে নিয়োগের মেয়াদ শেষ, একটি পদে বাণিজ্য

কেশরহাট প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের তিনটি পদে নিয়োগের মেয়াদ উত্তির্ন হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে। পাশাপাশি অপর একটি পদের নিয়োগে বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার মেয়ার শেষের দিন তিনটিসহ কেরানি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ করার কথা থাকলে তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও বানিজ্যের অভিযোগের এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়েছে বলে এক প্রার্থীর অবিভাবক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আয়া, পিয়োন ও ল্যাব সহকারী এই তিনটি পদের নিয়োগ মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে মেয়াদ আরো কিছুদিন থাকায় কেরানি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এই একই পদে একাধিক প্রার্থীর কাছে অগ্রীম কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এমন অভিযোগ উঠায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
নিয়োগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কেশরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের আয়া, পিয়ন ও ল্যাব সহকারী তিনটি পদ শুন্য হওয়া গত বছরের ১২ ডিসেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ছয়মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ হবে। সে অনুযায়ী গত ১১ জুন নিয়োগ বোর্ডের দিন নির্ধারণ করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এর আগের দিন একাকটি পদে একাধিক প্রার্থীর কাছে টাকা নিয়ে বানিজ্যের অভিযোগ উঠে। এমন খবরে পরদিন নিয়োগ বোর্ড স্থগিত হয়।
জানা গেছে এই নিয়োগের একটি পদে আবেদন করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে, স্থগিত হয়ে যাওয়া এই তিন পদের নিয়োগ গোপনে পুর্বের তারিখে সম্পুর্ণ করতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে এধরণের অনিয়ম হলে জনরোষের সৃষ্টি হবে।
একারণে পূর্বের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করার জোর দাবি স্থানীয়দের। পাশাপাশি অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যের কারণে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অপসারণ দাবি করেছেন।
পক্ষান্তরে নিয়োগ স্থগিতের কারণ জানতে চাইলে, একে অপরকে দোষারোপ করেন প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিজে বানিজ্য করে আমার উপর দায় চাপাচ্ছেন। আর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী প্রামাণিক বলেন, নিয়োগের বিষয়ে তিনি অবগত নন এবং তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেননা বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন।
তিনি দাবি করেন তাকে গোপন করে সবকিছু করছেন প্রধান শিক্ষক। আর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রেজুলেশনে সভাপতি নিজে সাক্ষর করেছেন এবং তিনি ফলাফলে পিছিয়ে থাকা এক প্রার্থীর সুপারিশও করছেন। তাই তিনি অবশ্যই শতভাগ অবগত রয়েছেন।


প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ | সময়: ৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ