সর্বশেষ সংবাদ :

তানোরে প্রতিবেশির মারপিটে গৃহবধূ হাসপাতালে, মামলা নেয়নি পুলিশ

তানোর প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোরে প্রতিবেশিদের হামলা ও মারপিটে গুরুতর আহত অবস্থায় চারদিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন গৃহবধু শিখা বেগম (২৫)। এঘটনায় তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও ঘটনার চারদিনেও আইনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। ফলে অভিযুক্তদের অব্যহত হুমকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই গৃহবধু ও তার পরিবার।
অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ২০ মে শনিবার দুপুরে তানোর পৌর এলাকার চাঁদপুর মহল্লার বাসিন্দা লিটনের পুত্র সিহাব (১০) বাড়ির পাশে দল্যাপুকুরে গোসল করতে যায়। তখন প্রতিবেশি রুবেলের পুত্র রাম্মিম (১১) গোসল করার সময় সিহাবের সঙ্গে পানি ছিটানো নিয়ে কাজিয়া করে। এসময় রাম্মিমের পিতা রুবেল (৩০) এসে সিহাবের গালে এলোপাথাড়ীভাবে চড়থাপ্পড় দিয়ে তাকে পানির মধ্যে ডুবিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তখন অন্য ছেলেরা সিহাবের মা শিখাকে খবর দেয়।

 

 

 

খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে সিহাবকে উদ্ধার করে বাড়ি নেয় শিখা বেগম। পরে শিখার বসতভিটায় গিয়ে উগ্র মেজাজে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে রুবেল ও তার স্ত্রী সুইটি (২৮)। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে রুবেল ও সুইটি শিখার চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে বিবস্ত্র করে। পরে রুবেলের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দ্বারা মারপিট করে শিখার হাত ভেঙ্গে দেয়। এসময় ভাই জীবন আহমেদ (১৬) শিখাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাকেও লোহার দিয়ে মারপিট করা হয়। এতে ফোলা জখম ও কালশিরা হয়। ঘটনার পরে শিখার পিতা আক্কাছ আলী বুদু (৫০) জমির মাঠ থেকে এসে আহত মেয়ে ও ছেলেকে উদ্ধার করে অন্যদের সহায়তায় তানোর উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এবিষয়ে রুবেল ইসলাম বলেন, তার ছেলে ও শিখার ছেলে গোসলে নেমে কাজিয়া করে। এসময় তিনি শিখার ছেলে সিহাবকে চড়থাপ্পড় দিয়ে পুকুর থেকে তুলে দেন। পরে অটোগাড়ী নিয়ে যাবার সময় বুদু তাকে মারপিট করেছে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

 

 

 

এবিষয়ে আক্কাছ আলী বুদু বলেন, রুবেল আমার মেয়ে শিখার চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে বিবস্ত্র করে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ীভাবে মারপিট করে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। কিন্তু
অভিযোগের চারদিনেও কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এতে তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এমন ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত নন। থানায় অভিযোগ হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৩ | সময়: ৫:১১ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর