সর্বশেষ সংবাদ :

ভোটারের ভাবনায় রাসিক নির্বাচন : উন্নয়নে পরিক্ষিত লিটনের বিকল্প নেই

স্টাফ রিপোর্টার: দিন যতোই গড়াচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন এগিয়ে আসছে। ইতোমধ্যেই নগরজুড়ে মুল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু রাসিক নির্বাচন। মেয়র পদে ইতোমধ্যেই কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিন্দন্দ্বিতা করার ঘোষণা ও ইতোমধ্যেই মাঠে নেমেছে। সাধারণ মানুষের ভাবনায় এখন নির্বাচন। ঘরে বাইরে সব জায়গায় এখন আগামীর নগর পিতা কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা। রাজনীতি নিয়ে মানুষের নানান মত থাকে। তবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বর্তমান মেয়রে এএইচএম খায়রুজ্জামানের বিকল্প দেখছেন না নগরবাসীরা। উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা মেয়র লিটনকে নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে।
গত কয়েকদিনে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় নানান পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে রাসিক নির্বাচনে মেয়র লিটনকে ঘিরে সাধারণ মানুষের আশা ও আকাঙ্খার কথা জানা গেছে। রাজশাহী মহানগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের ছাড়ানীড় আবাসিক এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবী আব্দুল মান্নান। নির্বাচন নিয়ে তিনি জানান, চাকুরি জীবনের শুরুর দিকে তার চোখে রাজশাহীর কোন উন্নয়নই চোখে পড়তো না। রাস্তাগুলো ছিল সরু। ছিলো না কোন বিনোদনের ব্যবস্থা। তবে এখন চিত্র আলাদা। রাজশাহীবাসীর যেসব উন্নয়ন প্রয়োজন ছিলো তার সবই পেয়েছেন বর্তমান মেয়র লিটনের হাত ধরে। তার হাত ধরেই নগরীতে অনেক বড় বড় প্রকল্প গড়ে উঠেছে। যার কারণেই রাজশাহী মহানগরী আজ নান্দনিক একটি শহরে পরিণত হয়েছে।
আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা উন্নয়নের পক্ষে। তাই আগামীতেও মেয়র লিটনের কোন বিকল্প নেই এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে।
নগরীর হেতেম খাঁ এলাকার শিক্ষক জহুরুল ইমলাম মিলন জানান, বর্তমান মেয়রের জন্য রাজশাহী মহানগরী শুধু দেশেই নয় বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করেছে। পরিচ্ছন্ন নগরীটি দেখতে অন্য শহর থেকে মানুষ আসে। এটা আমাদের অনেক বড় পাওয়া। নগরের বিভিন্ন জায়গায় যে উন্নয়নের ফুল ফুটেছে তা মেয়র লিটনের জন্যই। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। সেসব দলের সমর্থন করা মানুষ রাজশাহীতেও আছে। কিন্তু উন্নয়নের প্রশ্নে রাজশাহীবাসী সবাই এক। মেয়র লিটন এখন রাজশাহীবাসীর কাছে উন্নয়নের প্রতিক।
নগরীর সাধুর মোড় এলাকার রিকশাচালক জমশেদ আলী। তিনি জানান, আগের রাস্তুাগুলো কেমন ছোট ছিল। আগের মতো শহর থাকলে মানুষ চলাচল করতেই পারতো না। মেয়র লিটন আসার পর শহরে অনেক রাস্তা হয়েছে। বড় বড় সব রাস্তার কারণে মানুষের চলাচলে সুবিধা হয়েছে। জ্যাম বাধে না। চলাচলে খুব সুবিধা হয়েছে। এমন উন্নয়ন হইতে থাকলে রাজশাহী আরো সুন্দর হবে।
নগরীর ভদ্রা জামালপুর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্তমান মেয়র আসার পরে শুধু বড় বড় প্রকল্পই নয়, নগরীর গলি পথ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থারও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যেসব গলি পথগুলোর কোনদিন আমরা উন্নয়নের পরিকল্পনাও করতাম না, সেসব পথও উন্নয়ন হয়েছে। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে জলাবদ্ধতাও অনেক কমেছে। আর এসব নগরবাসী পেয়েছে মেয়র লিটনের কারণে। তাই আগামী নির্বাচনে মেয়র লিটনের পক্ষেই থাকতে চান তিনি।
এদিকে সম্প্রতি সময়ে বিভিন্ন আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী মহানগরী অতিত, বর্তমান ও আগামীর উন্নয়নের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
মেয়র বলেন, রাজশাহী শুধু দৃষ্টিনন্দর শহর নয়, উন্নয়নের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। একটি সিটি এলাকা কেমন হতে পারে তার একটি প্রতিরূপ দেখতে পাচ্ছেন। এখানে সুন্দর ভবন হয়েছে, প্রশস্ত রাস্তা হয়েছে, আলোকায়ন হয়েছে, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, সড়কে সারা বছর ফুল ফোটে। এই কাজগুলো ধরে রেখে রাজশাহীকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শহরকে বড় করতে হবে। শহর সম্প্রসারণ করার পরে সেসব এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালে রাজশাহীর উন্নয়নে ২৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রকল্পের ১২০০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আরো ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এরসাথে আরো প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্প আনতে চাই। তাহলে আগামীতে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
আগামীর উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মেয়র লিটন বলেন, রাজশাহীতে নৌবন্দর হলে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে, কর্মসংস্থান হবে। রাজশাহীতে নৌবন্দর স্থাপন ও নৌরুট চালু করতে চাই। প্রথম পর্যায়ে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে গোড়াগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। এরপর রাজশাহী হয়ে আরিচা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। এছাড়া রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন ও বাস সার্ভিব চালু করা হবে। বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। সেখানে উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারাখানা গড়ে তোলা হবে। পদ্মায় জেগে ওঠা চরে রিভার সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মাধ্যমে বিদেশী পর্যটক বাড়বে। নগরের আয়তন বাড়ানোর কাজও অনেকখানি এগিয়ে গেছে। এছাড়া রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে এই কাজগুলো বাস্তবায়ন হবে।


প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩ | সময়: ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ