অসময়ে কচি পাতা ঝরে রিক্ত হচ্ছে একটি পাকুড় গাছ

মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: পরম মমতায় ছায়াদান করে আসছিল যে গাছটি। আজ সে করুন দশায় উপনীত হয়েছে। গাছটি থেকে অবিরাম ঝরে পড়ছে কাঁচা এবং কচি পাতা। স্থানীয়রা গাছটির এই করুণ পরিনতি দেখে কেবল হা-হুতোস করছেন। কোন প্রতিকার খুঁজে পাচ্ছেন না। গাছটির অবস্থান ভবানীগঞ্জ বাজার আলু হাটার একেবারে মধ্যেখানে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা জানান, এবার শীতের শেষে আলুহাটার ওই পাকুড় গাছ থেকে স্বাভাবিক নিয়মে সবপাতা ঝরে পড়ে এবং বসন্তের শুরুতে আবার গাছের সকল শাখা প্রশাখায় নতুন পাতার দেখা মিলে। ক্রমেই গাছটি কচিপাতায় ভরে যায়।
প্রচন্ড গরম ও চৈত্রের তাবদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে এই গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয় শতশত লোকজন। পাশ্ববর্তী সাবরেজিস্টার অফিসে আগত জমির ক্রেতা বিক্রেতারাও প্রচন্ড গরমে এই গাছের ছায়ায় বসে প্রাণ জুড়ায়।
এছাড়া এই গাছের ছায়তলে বসেই অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভাসমাবেশ। এমন ভাবে পরম মমতায় ছায়া দেওয়ায় এই গাছের প্রতি সবার ভালবাসার সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে এই গাছের পাতা অবিরাম ভাবে ঝরে পড়ছে।
স্থানীয়রা বলেছেন, এবার চৈত্রের শুরুতে ব্যাপক গরম পড়ে ও তাপদাহ শুরু হয়। তাদের মতে, এই তাপদাহের কারণে গাছটি থেকে পাতা ঝরে পড়তে পারে। তবে যে কারণেই পাতা ঝরুক না কেন তারা এ বিষয়ে উপজেলা বনবিভাগ ও কৃষি বিভাগের কাছে এর সমাধান প্রত্যাশা করছেন।
ভবানীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম মীর জানান, কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্য করছি গাছটি থেকে ব্যাপক হারে কচি পাতা ঝরে পড়েছ। এ বিষয়ে আমি আমার ফেসবুক আইডি থেকে গাছের ছবিসহ একটি পোস্ট দিয়ে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মহলের মতামত চেয়েছি। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি গাছটির পাতা ঝরে পড়া বন্ধ করতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, স্থানীয় মারফত বিষয়টি অবগত হয়ে আমি নিজে সেখানে গিয়ে গাছটি পরিদর্শন ও এর পাতা সংগ্রহ করেছি। প্রচণ্ড গরম ছাড়াও পোকামাকড়ের কারণে এভাবে পাতা ঝরতে পারে। তবে যে কারণেই পাতা ঝরুক না কেন এটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সমাধান করার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হবে।


প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩ | সময়: ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ