তানোরে মাদ্রাসায় চাকুরির নামে প্রতারণা, সুপারকে লাঞ্চিত

 তানোর প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোর সদরের মেডিকেল মোড় নামক স্থানে অবস্থিত ‘তানোর পৌরসভা দাখিল মাদ্রাসা’য় চাকুরি দেবার নামে প্রতারণার দায়ে এক সুপারকে পাঞ্জাবির কলার ধরে টেনে হেচঁড়ে লাঞ্চিত করা হয়েছে। ওই সুপারের নাম মুনসুর রহমান। তার স্থায়ী বাড়ি জেলার বাগমারা উপজেলায়। বর্তমানে তিনি মুন্ডুমালায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তানোর সাব-রেজিস্ট্রী অফিস চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার দুপুরে থানায় অভিযোগ করা হয়।

 

 

 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের মোহর গ্রামের বাসিন্দা আলমগীরকে মাদ্রাসায় চাকুরি দেবার কথা বলে বেশ কয়েক বছর আগে প্রায় ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন আমশো মথুরাপুর নামক স্থানে অবস্থিত ‘তানোর পৌরসভা দাখিল মাদ্রাসা’র সুপার মুনসুর রহমান। কিন্তু বেশ কয়েক বছরেও আলমগীরকে চাকুরি দেননি তিনি। পরে চাকুরি দেবার নামে নেয়া ঘুষের টাকাও ফেরৎ দেননি সুপার। টাকা চাওয়া হলে আজকাল করে আলমগীরকে ঘুরানো হয়। এরই জের ধরে আলমগীরের স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে টাকা ফেরতের জন্য সুপারের কলার ধরে টানা হেছড়া করা হয়। শুধু আলমগীরের কাছে নয় ওই সুপার মাদ্রাসায় চাকুরি দেবার কথা বলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বেশ কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

 

 

এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা সুপারকে উত্তম মাধ্যম দিতে তেড়ে ধরেন। এহেন সময় পালিয়ে রক্ষা পান সুপার। ফলে এমন প্রতারক সুপারকে আইনের আওতায় আনার দাবি উঠেছে । এ অবসস্থায় চলতি মাসের ৩০ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে তানোর সাব রেজিস্ট্রী অফিসের সামনে সুপারকে পেয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলেন আলমগীরের স্বজন ধানতৈড় মহল্লার বাসিন্দা হাসেম আলী। এসময় সুপার টাকা দিতে অস্বীকার করায় হাশেম ও তার লোকজন সুপারের পাঞ্জাবির কলার ধরে টানা হেচড়া করেন। পরে আইনের হাতে তুলে দিতে চাইলে বসে সমাধানের কথা হয়।

 

এব্যাপারে সুপার মুনসুর রহমান বলেন, চাকুরি দেবার কথা বলে টাকা নেয়া হয়নি। আর আলমগীরকে আমি চিনিও না। প্রায় এক বছর আগে হাসেমের কাছ থেকে সুদের উপর এক লাখ টাকা নিয়েছিলাম। এখন হাসেম বলছে সুদ বেড়ে ৪ লাখ টাকা হয়েছে। পরে বসে মিমাংসা না হওয়ায় অভিযোগ করা হয়েছে। দেখা যাক কি হয় বলে জানান সুপার।

 

 

তবে এবিষয়ে হাসেম আলী বলেন, কোন সুদের টাকা নয়। মাদ্রাসায় চাকুরি দেবার কথা বলে আমার আত্মীয় আলমগীরের কাছ থেকে টাকা নেয় সুপার। চাকুরি তো দেয়নি। ডোনেশন বা ঘুষের টাকা আজ-কাল দেব বলে বেশ কয়েক বছর ধরে তালবাহানা করে আসছে সুপার। ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল মোল্লা ঘটনা সম্পর্কে অজানা।

এব্যাপারে তানোর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত নন। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৩ | সময়: ৪:২৪ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine