শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
ভাঙ্গুড়া(পাবনা) প্রতিনিধি:
জীবন যাত্রার আধুনিকায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে বিলুপ্তির পথে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ‘হারিকেন বাতি’। অথচ গ্রামীণ জীবনে রাতের অন্ধকার দূর করতে একটা সময় মানুষের অন্যতম ভরসা ছিলো হারিকেন বা কুপি-মোমবাতি। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার নানা পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই পড়ালেখা করেছেন হারিকেনের মৃদু আলোয়। গৃহস্থলি এবং ব্যবসার কাজেও হারিকেনের ব্যাপক চাহিদা ছিলো।
তবে এখন সেই হারিকেন অযন্ত আর অবহেলাসহ ঠাঁই রয়েছে জাদুঘরে। হারিকেনের স্থান দখল করেছে নানা ধরনের বৈদ্যুতিক বাতি। একরকম হারিকেনের ব্যবহার এখন নাই বললেই চলে। প্রাচীন বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্য কুপি বাতি, মোমবাতি ও হারিকেন এখন শুধুই স্মৃতি। গ্রামের অমাবস্যার রাতে মিট-মিট আলো জ্বালিয়ে মানুষের পথ চলার স্মৃতি এখনো তাড়া করে। দিন দিন প্রযুক্তি মানুষকে উন্নত করছে। হারিকেন ছেড়ে মানুষ এখন বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছে।
তাপবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, সৌরবিদ্যুৎসহ জ্বালানি খাতে ব্যাপক উন্নয়নে ঐতিহ্যবাহী হারিকেন বিলুপ্তির পথে। এছাড়াও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎকে সংগ্রহ করে ব্যবহারের পন্থা আবিস্কার করেছে বিজ্ঞানীরা। চার্জলাইট, সৌরবিদ্যুৎসহ বেশ কিছু আলোর জোগান থাকায় এখন আর কেউই ঝুঁকছেন না হারিকেনের দিকে।
প্রবীণদের মতে, এক সময় হারিকেন দেখতে যেতে হবে জাদুঘরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো জানবেও না হারিকেন কী বা হারিকেনের ইতিহাস। চায়না জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খুব দ্রুত চার্জ সংরক্ষণকারী আলোর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে। এভাবেই হয়তো চিরতরে হারিয়ে যাবে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ‘হারিকেন বাতি’।
সানশাইন/ শামি