কথিত জিনের বাদশাহ র‌্যাবের জালে আটক

স্টাফ রিপোর্টার, জয়পুরহাট: র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যা¤েপর কো¤পানী অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মাসুদ রানার নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল শনিবার বিকেলে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানাধীন হাটপাড়া এলাকা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা কথিত জিনের বাদশাকে গ্রেফতার করেছে।
আটক কথিত ওই জিনের বাদশা হলেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানার হাটপাড়া (হায়দার নগর) এলাকার মৃত আক্তার নবাব খানের ছেলে ইমরান হোসেন ইমন (২৫)।
প্রায় একমাস পূর্বে জয়পুরহাট সদর থানার পূর্বদেবীপুর এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী সাজ্জাদুল ইসলাম তার এক প্রতিবেশির পরামর্শে কথিত জিনের বাদশা ইমরান কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে যায় এবং চিকিৎসা নেওয়ার এক পর্যায়ে কথিত জিনের বাদশা ইমরান কবিরাজ নিজে জীনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে রোগ নিরাময় করবে এবং এর ফলে ভুক্তভোগীকে সে জিনের অনেক ধন স¤পদ, গুপ্তধন পাইয়ে দেবে। কিন্তু শর্ত দেয়, তাকে ৫ লক্ষ টাকা আগে দিতে হবে। সরল বিশ্বাসে ভুক্তভোগী সাজ্জাদুল ইসলাম জিনের বাদশা ভেবে তাকে ৩ লক্ষ টাকা দেয় এবং গুপ্তধন পাওয়ার পর ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
কিন্তু টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর কথিত জিনের বাদশা ইমরান কবিরাজ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং ফোন বন্ধ করে রাখে। পরে ভুক্তভোগী সাজ্জাদুল ইসলাম এ সংক্রান্ত বিষয়ে জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যা¤েপ অভিযোগ করলে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে কথিত জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের মূলহোতা ইমরান হোসেন কবিরাজের অবস্থান শনাক্ত করে প্রতারণার বিভিন্ন উপকরণ সহ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং ইমরান হোসেন কবিরাজের প্রধান সহযোগী রাফসান পলাতক থাকে।
র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত কথিত জিনের বাদশা ইমরান হোসেন কবিরাজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছ থেকে বিকাশ, নগদ ও অন্যান্য মাধ্যমে জিনের কলসি ভর্তি সোনাদানা দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে।


প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩ | সময়: ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ