সর্বশেষ সংবাদ :

রাবির উর্দু বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, বিধিবহির্ভূত ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে তিনি বিভাগের শিক্ষার্থীদের দ্বারা আন্দোলনের নামে বিভাগে তালা লাগিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত ও বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর এসব অভিযোগ দিয়েছেন একই বিভাগের ৫ জন শিক্ষক। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক বলছেন, তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম অধ্যাপক আতাউর রহমান। তিনি উর্দু বিভাগের সভাপতি। অপরদিকে অভিযোগকারী শিক্ষকেরা হলেন, অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন, অধ্যাপক মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক উম্মে কুলসুম আকতার বানু, মো. মোকাররম হোসেন মণ্ডল ও মো. সামিউল ইসলাম।

 

 

 

লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কোনোরকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি বহির্ভূত ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে আসছেন তিনি। একান্ত অনুগত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দিয়ে আন্দোলনের নামে বিভাগে তালা লাগিয়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত ও বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।

অভিযোগপত্রে তারা আরও উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ১ম বর্ষের ২য় সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল ৬ মাস পূর্বে প্রকাশিত হলেও তিনি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তির ব্যবস্থা করেননি। ২০২১ সালের ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার ও ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের সকল কোর্স শেষ হবার পরেও পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ ও পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করছেন না তিনি। তিনি যেসব পরীক্ষা কমিটিতে থাকেন তাতে ধারাবাহিক অসহযোগিতা ও সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন বলেও অভিযোগ তাদের।

 

 

 

তারা আরও অভিযোগ করেন, তিনি বিভাগের তিন লক্ষাধিক টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করেছেন। বারবার বলার পরেও তিনি উক্ত টাকা ফেরত দেননি। একটি পানির ফিল্টার ক্রয়ের অনুমোদন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করে পানির ফিল্টার স্থাপন করেননি। এছাড়াও অধিকাংশ সময় চায়ের দোকানে বসে অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষার্থীকে নিজের অনুগত রাখতে ইনকোর্সে শতভাগ নম্বর প্রদান এবং রুটিন অনুযায়ী ক্লাস না নিয়ে তিনি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্লাস নেওয়ারও অভিযোগ করেন ওই ৫ শিক্ষক।

 

 

 

অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি করে উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। একটা কুচক্রী মহল আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে।

 

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, অভিযোগটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে উর্দু বিভাগের সভাপতিসহ শিক্ষকগণ উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্য মহোদয়ের সাথে মিটিংয়ে বসার কথা।

 

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, উপাচার্য স্যারসহ আমরা আজ বিকেলে তাদের সাথে মিটিং করেছি। সেখানে বিভাগের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে তাদেরকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সানশাইন / শামি

 


প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩ | সময়: ৮:০৫ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine