সর্বশেষ সংবাদ :

পর্যটন শহরের আদলে ভবন বানাচ্ছে রেড ব্রিক 

স্টাফ রিপোর্টার : 

২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রেড ব্রিক রেডা’র সদস্যভুক্ত আবাসন প্রতিষ্ঠান। পর্যটন ও সবুজ নগরী হিসেবে রাজশাহীকে সাজিয়ে তুলতে এ প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতে রয়েছে গাছ লাগানোর আলাদা জায়গা। এছাড়া ছাদ বাগান করার জন্য ফ্লাট মালিকদের বিশেষ নির্দেশনা।

 

 

রাজশাহীর নগর ভবনের গ্রীন প্লাজায় অনুষ্ঠিত আবাসন মেলায় ঢুকতেই হাতের বামে রেড ব্রিকের দৃষ্টিনন্দন স্টলে সকলের চোখে পড়বে। সেখানেই কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও রেডার সাংগঠনিক সম্পাদক ‘কিপ রাজশাহী ক্লিন,কিপ রাজশাহী গ্রীন’ তত্ত্বে বিশ্বাসী মেসবাউল বারী সওদাগর সাথে। তিনি জানান, মাননীয় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীকে যে উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন আমি আমার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেই বার্তা দিতে চাই সকলকে। গ্রীন ক্লিন পর্যটন নগরী গড়তে প্রতিটি ভবনকে বিভিন্ন ধরনে ফলজ,ঔষধী, গাছ দিয়ে সাজানোর আহ্বান জানাচ্ছি। মানুষের সচেতনার অভাবে ফসলি জমিতে বাড়ি করছেন অনেকে। এতে কৃষির উপর বড় আঘাত হচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মকে আমদানি নির্ভর যাতে না থাকতে হয় সেজন্য তিনি যতটুকু জমি ও ফ্লাটের আশেপাশে জায়গা রয়েছে সেখানে গাছ লাগানোর আহবান জানান।

 

 

মেসবাউল বারী আরো জানান, তিনি নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য স্থায়ী নিবাস গড়ার প্রচেষ্টায় কাজ করছেন। এজন্য তার বেশিরভাগ প্রজেক্টগুলোতে ছোট পরিবারের সাধ্যের মধ্যে বাড়ি কিনতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন। বর্তমানে আবাসন খাতের জিনিসপত্রের যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে বড় পরিসরের জায়গায় ক্রেতারা দৃষ্টি কম দিচ্ছেন। এপর্যন্ত ৪টি প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রাজশাহীর কাজলা ও অক্ট্রয় মোড়ে দুইটি ও পদ্মা আবাসিকে দুটি। এ প্রজেক্টগুলোর প্রতিটি সাত তলা বিশিষ্ট।

 

 

 

তিনি জানান, এ ভবনগুলো মেয়াদ শেষের আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে ফলে রাজশাহীতে আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম সুপরিচত হয়ে আছে সেসব এলাকায় যেখানে আমরা ভবনগুলো সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে পদ্মা আবাসিকের পারিজাত এলাকার দুই নং রোডে সৌরভ নামে সাত তলা বিশিষ্ট ভবনের কাজ চলছে। সামনে নতুন আরো চারটি প্রজেক্ট চালু হচ্ছে। এর মধ্যে লক্ষীপুর ঝাউতলা মোড়ে ৮তলা বিশিষ্ট প্রতিটি ফ্লোরে ১৪০০ স্কয়ার ফিট করে দুই ইউনিট বিশিষ্ট রুম করা হবে। এছাড়া বড়কুঠি ভূমি অফিসের সাথে সিঙ্গেল ইউনিটের ফ্লাট করা হচ্ছে। পদ্মা আবাসিকের চার নং রোডে সাত তলা বিশিষ্ট আরো একটি ভবন হবে। আমি অতি উচু ভবন তৈরিতে না গিয়ে মাঝারি সাইজের ভবন করতে পছন্দ করি। অতি উচ্চ ভবনগুলোর অনেকগুলো বিষয় থাকে তাই আমি মাঝারি সাইজের ভূমিকম্প সহনীয় ভবন বানাতে বেশি আগ্রহী।

 

কম দামে ফ্লাট বিক্রির করছেন অনেকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমরা এ বিষয়টি নিয়ে জনসাধারনকে সচেতন করে বলতে চাই, রাজশাহীতে ১৬০টি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান নামে বেনামে কার্যক্রম চালাচ্ছে। অনেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিষ্ঠান সাব অফিস বানিয়ে ব্যবসা করছে। আমরা রেডার সদস্যভূক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফ্লাট তৈরি ও বিক্রি করছি। অথচ চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে যারা কম দামে ফ্লাট বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন।

 

 

ক্রেতারা জেনেশুনে যদি প্রতারণার ফাদে পা দেয় সেক্ষেত্রে রেডা’র কিছু করার থাকবে না বলে জানান। মূলত আবাসন খাতের রেডার স্বনামধণ্য কয়েকজন ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে ও আবাসন ব্যবসায় অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য এসব প্রতরণামূলক বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। ভবন না বানিয়ে অন্য আরেকজনের কাছে বিক্রি করে পালিয়ে যান অনেকে।

 

 

রেডা’র সাংগঠনিক সম্পাদক আরো বলেন, রেডা’র সদস্য হতে হলে বেশ কিছু নিয়মের মধ্যে কাজ করে অন্তর্ভূক্তি হতে হয়। রেডা প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠন। এখানে জবাবদিহিতার সুযোগ ও তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ থাকায় প্রতারণা করার কোন সুযোগ নেই।

সানশাইন / শামি

 

 


প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩ | সময়: ১:৪০ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine